পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33 প্যারীচাদ মিত্র তিনি "অনরারি জষ্টিসের পদ” লাভ করিয়াছিলেন। পর-বংসর (১৮৬৪) এপ্রিল মাসে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো মনোনীত ও ১লা জুন (১৮৬৪) “বড় জেল ও হরিণবাড়ীর তত্ত্বাবধায়ক” নিযুক্ত হন। এই সময়ে তিনি হাইকোর্টের গ্রাণ্ড জুরর হইয়াছিলেন। ১৮৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দের জানুয়ারি হইতে ১৮৭০ খ্ৰীষ্টাব্দের জানুয়ারি মাস পর্য্যন্ত প্যারীচাদ বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। আইনপরিষদের সদস্য-হিসাবে তাহার একটি কাজ বিশেষভাবে স্মরণীয় ; প্রধানত: তাহারই যত্ন চেষ্টায় পশু-ক্লেশ-নিবারণ-বিষয়ে দুইটি বিল ( ১৮৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ১ ও ৩ নং অ্যাক্ট ) পরিষদে উপস্থাপিত এবং যথাসময়ে আইনে পরিণত হইয়াছিল। মৃত্যু ; মৃতিরক্ষা ২৩ নবেম্বর ১৮৮৩ তারিখে উদরী রোগে প্যারীচাঁদের মৃত্যু হয়। র্তাহার বন্ধু ও গুণমুগ্ধ জনের ২৮ জানুয়ারি ১৮৮৪ তারিখে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন হলে এক বিরাট শোকসভার আয়োজন করেন। পাদরি কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামতনু লাহিড়ী, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, শিবনাথ শাস্ত্রী, শিবচন্দ্র দেব, নরেন্দ্রনাথ সেন, কৃষ্ণদাস পাল প্রভৃতি সভায় উপস্থিত ছিলেন ; অনেকে বক্তৃতাও করিয়াছিলেন। প্যারীচাদের যথোপযুক্ত স্মৃতি রক্ষার জন্য এই সভায় একটি স্মৃতি-সমিতি গঠিত হয়। স্মৃতি-সমিতির প্রযত্নে যে অর্থ সংগৃহীত

  • সোমপ্রকাশ, ১৮ মে ১৮৬৩ ৷ + 'সোনপ্রকাশ, ৬ জুন ১৮৬৪।