পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদের t ফেনীয় সাপ্তদের মতামতই বলবৎ থাক্ষিত। শিক্ষা-কমিটির ইহা কখনই মনঃপূত হয় নাই। তাছার অন্যান্ত স্কুল-কলেজের মত ছিন্মুকলেজকেও তাহাজের নির্ধারিত নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে জানিবার প্রস্তাব করিয়াউর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এক বিবৃতি পেশ করিলেন। সরকার এই বিবৃতির নিরিখে এমন কতকগুলি নিয়ম করিয়া দিলেন, যাহাতে শিক্ষ-কটির কর্তৃত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। রাধাকান্ত দেব এই সময়ে একাদিক্ৰমে তিন বৎসর শিক্ষা-কমিটির সমস্ত ছিলেন ; হিন্দুকলেজ পরিচালনার্থ ইহার গবর্ণর, ম্যানেজার এবং শিক্ষা-কমিটির দুই জন প্রতিনিধি লইয়া ইহারই কর্তৃত্বাধীনে যে কমিটি গঠিত হইল, তিনি তাহারও সান্ত রছিলেন। কিন্তু কর্তৃক্ষ ঐক্ষপে দ্বিধাবিভক্ত হওয়ায় শিক্ষ-কমিটি ও কলেজ-কমিটি উভয়ের মধ্যে এই সময় হইতে প্রায়ই শ্বের উদ্ভব হইতে থাকে। কয়েক বৎসরের মধ্যেই এমন দুইটি ঘটনা ঘটে, যাহাতে এই স্বস্ব চরমে উঠে। ১৮৪৮ খ্ৰীষ্টান্ধে হিন্দুকলেজের শিক্ষক কৈলাসচন্দ্র বন্ধ খ্ৰীষ্টধর্মে দীক্ষিত হইলে হিন্দু সমাজে ভীষণ চাঞ্চল্য উপস্থিত হয়। কলেজ-কমিটির যে-সভায় এ বিষয়ের আলোচনা হয়, তাহাতে উপস্থিত তিন জন দেশীয় সদস্তের মধ্যে প্রসন্নকুমার ঠাকুর ও রাধাকান্তু দেব খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত কৈলাসচন্দ্র বসুকে কলেজের কর্ণ হইতে অব্যাহতি দিবার দাবি করেন। সংখ্যাল্পতা হেতু তাছাদের দাবি অগ্রা হয়। কিন্তু র্তাহাদের—সুতরাং হিন্দু সমাজের— মনোভাব গবর্মেন্টের গোচরে আনিবার জন্তু শিক্ষ-কমিটিকে অনুরোধ করিতে সকলেই সন্মত হইলেন। আশ্চর্য্যের বিষয় এই, শিক্ষাকমিটিতে এই প্রস্তাৰ উত্থাপিত হইলে যে-সব ইউরোপীয় সান্ত পূৰ্ব্বে সম্মত হইয়াছিলেন, তাহারাই এখানে ইহার বিরুদ্ধাচরণ করিলেন ; ফলে ছিজু সমাজের মনোভাব গবর্মেন্টের গোচরে আন আর সম্ভবপর