পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* : স্ত্রীশিক্ষা * রাধাকান্ত দেব স্ত্রীশিক্ষা প্রচারেও সমান অতি ছিলেন। পণ্ডিত গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার তাছার স্ত্রী শিক্ষাবিধায়ক’ পুস্তকে লিথিয়াছেন, “কলিকাতার রাজবাটীর প্রায় সকলেই মহিলুই ] লেখাপড় বিতি আছেন। কলিকাতা রাজবাটা বলিতে ষ্ট্ৰেীবাজার রাজবাট দুবাইত। তখন একান্ত বিদ্যালয়ে তা হিলু করে পড়াইবার রেওয়াজ ছিল না। সম্পর হিমুর শিক্ষয়িত্রী রাখিয়া মেয়েদের পড়াইতেন। ২ জুন ১৮২১ তারিখে কলিকাতা স্কুল সোসাইটির তীিয় বাৰ্ষিক সভায় কথা উঠে যে, হিন্দু নারীদের বিদ্যাশিক্ষার কোনই ব্যবস্থা নাই। এ সভার সভাপতিত্ব করেন মুপ্রিম কোর্টের (বর্তমান হাইকোর্ট) প্রধান বিচারপতি সার এডওয়ার্ড হাইড ট্রট। তিনি বস্তৃতাপ্রসঙ্গে এই মৰ্ম্মে এ কথার জবাব দেন যে, স্ত্রীজাতির শিক্ষাকল্পে এযাবৎ হিন্দুপ্রধানগণ প্রকাতে কোনরূপ চেষ্টা করেন নাই বটে, কিন্তু ইহা বড়ই সঙ্কোষের বিষয় যে, তাহার এ বিষয়ে বিশেষ অবহিতই আছেন। র্তাহারা কেছ কেহ নিজ পরিবারের মধ্যে নারীদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করিয়াছেন। রাধাকান্ত প্রকাগু বিদ্যালয়ে বালিকাদের পাঠাইবার পক্ষপাতী ছিলেন না বটে, কিন্তু তিনি স্ত্রীশিক্ষার বিশেষ উৎসাহদাতা ও সমর্থক ছিলেন, এবং সমসময়ে ও পরবর্তী যুগে এ-বিষয়ে অগ্রণী বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়াছেন। রাধাকান্ত দেবের শোভাবাজারস্থ ভবনে স্কুল সোসাইটির ছাত্ৰগণের যে বাৰ্ষিক ও ত্রৈমাসিক পরীক্ষা ইত,তাহাতে ফিমেল জুবিনাইল সোসাইটির পাঠশালার বালিকারাও প্রথম প্রথম যোগদান করিত। ছেলেদের তারেও গুণমুগারে পারিতোধিক দেওয়া •