পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীশিক্ষা ቅ.. হইত, জলযোগাদিরও তাহারা ভাগ লইত। খ্ৰীষ্টতত্ত্ব শিক্ষা দেওয়ার জন্ত ঐ সব বালিক-বিদ্যালয় কিন্তু সম্রাপ্ত হিন্দুদের মধ্যে কখনও জনপ্রিয় হয় নাই। নিম্ন শ্রেণীর দরিদ্র হিন্দু বালিকারাই বেশীর ভাগ এখানে অধ্যয়ন করিত। খ্ৰীষ্টান মহিলারা জারিদ্র্যের সুযোগ লইয়া ছাত্রীদের অনেককে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিতেন। কোন রকম ধৰ্ম্মশিক্ষা দেওয়া হইবে লা—এই সৰ্ত্তে কলিকাতায় প্রথম সাধারণ প্রকাশু । বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৮৪৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ৭ই মে তারিখে। তীয়তসরকারের আইন-সচিব ও শিক্ষা-সমাজের সভাপতি ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন সাহেব ইহার প্রতিষ্ঠাতা। এই কাৰ্য্যে তাহাকে বিশেষ সাহায্য করেন উক্ত শিক্ষা-সমাজের অন্যতম সদস্ত রামগোপাল ঘোষ, এবং দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কার। তখনকার দিনের প্রগতিশীল সংবাদপত্র ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘সম্বাদ ভাস্কর এই প্রচেষ্টার সমর্থন করিলেও অন্য বহু শত্রুক ইস্থায় নিনা করিতে থাকে। এই সময়ে বেথুন সাহেব ‘স্ত্রী শিক্ষাবিধায়কে’র একটি অভিনব সংস্করণ প্রকাশের সঙ্কল্প করেন। এই পুস্তকখানির প্রকাশ এবং সাধারণ ভাবে স্ত্রীশিক্ষা সম্পর্কে রাধাকান্ত দেব ও বেথুন সাহেবের মধ্যে পত্র-ব্যবহার হয়। একখানি পত্রে ( ২০ ফেব্রুয়ারি ১৮৫১ ) রাধাকান্ত দেৰ স্ত্রীশিক্ষার নিন্দাবাদের প্রতিবাদ করিয়া তাঁহাকে লেখেন,— My literary occupations leave me little or no time to look over the newspaper8 but I have learut....that impudent publications are appearing therein to sully yonr reputation. They are certainly the vituperation of malignant mind that cannot rast without, doing ewii. আর একখানি পত্রে তিনি স্ত্রীশিক্ষা সম্পর্কে তাহার অভিমত এবং ত্ৰিশ বৎসর যাবৎ এই উদ্দেশ্বে তিনি কি কি করিয়াছেন, তাহার একটি