পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পণ্ডিতের সংস্রবে আসিয়া তিনি ক্রমেই র্তাহার বুদ্ধির সূক্ষ্মত, জ্ঞানের গভীরতা, কৰ্ম্মের ক্ষমতা এবং স্থৈৰ্য্য, তেজস্বিত ও চরিত্রবলে মুগ্ধ হইয়া পড়িতে লাগিলেন। এই চাকুরী গ্রহণের ফলে, মার্শেল সাহেবের পরামর্শে র্তাহাকে ভাল করিয়া ইংরেজী ও হিন্দী শিখিতে হইত ; বিদ্যাসাগরকে সিবিলিয়ান ছাত্রদের পরীক্ষার কাগজ দেখিতে হইত ; এই কার্য্যের জন্য ইংরেজী ও হিন্দীর জ্ঞান একান্ত আবশ্যক ছিল। সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি অল্পস্বল্প ইংরেজী শিখিয়াছিলেন, এখন প্রতি দিন বৈকালে শিক্ষকের সাহায্যে ইংরেজী পড়িতে লাগিলেন। র্তাহার বন্ধু তালতলা-নিবাসী দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ( সুরেন্দ্রনাথের পিতা) তাহাকে প্রথমে কিছু দিন ইংরেজী পড়াইয়াছিলেন। প্রাতে একজন হিন্দুস্থানী পণ্ডিত তাহাকে হিন্দী শিথাইতেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে কাৰ্য্যকালে বিদ্যাসাগর রীতিমত সংস্কৃতের চর্চাও করিয়াছিলেন ; এই সময় তিনি সাংখ্য ও পুরাণ ভাল করিয়া অধ্যয়ন করেন । ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের সংস্রবে আসিয়া অনেক উচ্চশ্রেণীর ইংরেজ ও গণ্যমান্ত দেশীয় বড়লোকের সহিত বিদ্যাসাগরের আলাপ-পরিচয় হয়। ক্যাপ্টেন মার্শেল কাউন্সিল-অব-এডুকেশন বা শিক্ষা-পরিষদের সম্পাদক ডাঃ ময়েটের { Mouat-এর ) সহিত বিদ্যাসাগরকে পরিচিত করাইয়া দেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের চাকুরী বিদ্যাসাগরের গতি নির্দেশ করিল। প্রায় পাচ বৎসর কাল ফোট উইলিয়ম কলেজে কাৰ্য্য করিবার পর বিদ্যাসাগর সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করিবার সুযোগ পাইলেন। যেপ্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষা লাভ করিয়াছিলেন, তাহার সর্বাঙ্গণ উন্নতিসাধনের ইচ্ছা মনে মনে পোষণ করিতেন । ১৮৪৬ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৬এ