পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসক্তির যুগে এই নিীত কতখানি কাজ করিয়াছে আজ তাই আমরা জাহ্মা মাৱ করিতে পারি; কিন্তু যশোহর হইতে নেগুৰ হই খুলনায় আসা পর্যন্ত তাহার কোনই পরিচয় পাই না। খুলনায় তিনি Raimohan's Wife রচনা করেন ও ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে তাহা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। ঐতিহাসিক গবেষণায় দিকে তখন পর্য্যন্ত যে তাহার ক্টোক ছিল, তাহার প্রমাণ, ১৮৬৩ খ্ৰীষ্টাব্দের ৫ই আগস্ট হইতে র্তাহাকে কলিকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সভ্যতালিকাভূক্ত হইতে দেখি ; মধুসূদন-বন্ধু গেীরদাস বসাক ঐ বৎসরের ১লা জুলাই তারিখে তাহার নাম প্রস্তাবিত করেন। বঙ্কিমচন্দ্র ১৮৬৭ খ্ৰীষ্টাব পৰ্য্যস্ত সভ্যরূপে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত ছিলেন। 3. খুলনা হইতেই অর্থাৎ ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টান্ধের পূর্বেই বঙ্কিমচন্দ্র ‘দুর্গেশনলিনী রচনায় হাত দেন। কিন্তু তংপূর্বেই ভবিয়ং বঙ্কিমের সূচনা দেখা দিয়াছে। নিষ্ঠার সহিত বিমাতার সেবা করিয়া মাতৃভক্ত বঙ্কিমের তৃপ্তি হয় নাই, Rajmohan's Wife য়চনা করিয়া তাহার মনে ধিক্কার আসিয়া থাকিকে কল্পনা তখনও দিগন্তবিস্তারী নয়, মূলধনও কমবঙ্কিমচন্দ্র প্রায়শ্চিত্ত-স্বরূপ নিজেই নিজের ইংরেজী উপন্যাসের অম্বুবাদ ফবিতে বসিলেন। এক অধ্যায়, দুই অধ্যায়, তিন অধ্যায়—অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন পুরুষের পক্ষে কোনও কিছুর পুনরাবৃত্তি মুখপ্রদ ও সহজসাধ্য নয়। অহা অগ্রসর হইল না। রাজস্থানের স্ত্রী সুত্রপাতেই বিনষ্ট হইল। o কিন্তু পাত কয়টা রহিয়া গেল—সন্দিগ্ধ স্ত্রীড়াবনত প্রতিভার প্রথম গঙ্গারুণ বিকাশ! একটা অদ্ভূত ব্যাপার এই কয়েকটি পৃষ্ঠা লক্ষণীয়। ‘সংবাদ প্রভাকরে'র আদর্শে যে ভাষা বঙ্কিমচন্দ্রের একমাত্র অবলম্বন ছিল, ‘রাজমোহনের স্ত্রী’ লিখিতে বসিয়া বঙ্কিমচন্দ্র সেই ভাষাকে নিৰ্ম্মম ভাবে