পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থাকিলেও বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাল সম্পূর্ণ মৌলিক রচনা। 1 * সমসামৰিক সমালোচক-মহলে 'ফুর্গেশনঙ্গিনী লইয়া দুই পরস্পরবিরোধী মত প্রচারিত হইয়াছিল। কাহারও মতে ছুর্গেশনন্ধিনী' বঙ্কিমচন্ত্রের একটি নিকৃষ্ট রচনা; কেহ কেহ ইহাকে শ্রেষ্ঠ রচনার অন্ততম বলিয়াছেন। উদ্যোগপর্বের গোড়ার দিকে বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষা ও রচনারীতি লইয়া পণ্ডিতসমাজ আক্রমণ চালাইয়াছিলেন, কিন্তু এই আক্রমণ সত্বেও বঙ্কিমচন্দ্র তাহার রীতি পরিবর্তনের প্রয়োজন বোধ করেন নাই ; কারণ, তিনি অস্তরে অস্তরে এই বিশ্বাস পোষণ করিতেন যে, ভাষা লইয়া তিনি যাহা করিতেছেন, তাহ সম্পূর্ণ অভিনব ; পুরাতনপন্থীদের তাহা হজম করা শক্ত, কিন্তু বাংলা ভাষাকে অত্যুংকুষ্ট সাহিত্যের বাহন করিয়া, তুলিতে হইলে এই অভিনবত্ব একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সে যুগের পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালীরা ১৮৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে ‘দুর্গেশনন্ধিনীর প্রকাশেই বাংলা সাহিত্যের নূতন বিপুল সম্ভাবনায় উৎফুল্প হইয়া উঠিয়াছিলেন। এই হঠাৎ-চমক ও আনন্দ-কলরবের কথা সে যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষিত বাঙালী রমেশচন্দ্র দত্ত এই ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন :– যখন দুর্গেশনন্টিনী প্রকাশিত হইল, তখন বেন বঙ্গীয় সাহিত্যাকাশে সংস৷ একটা নূতন আলোকের বিকাশ হইল। দেশের লোক সে আলোকচ্ছটায় চমকিত হইল, সে স্বালার্ককিরণে প্রচুর হইল, সে দীপ্তিতে স্নাত হইয়। স্তুতিগান করিল। কলিকাতা ও ঢাকা এবং পশ্চিম ও পূৰ্ব্বদেশ হইতে আনন্মরৰ উধিত হইল, বঙ্গবাসিগণ বুলি সাহিত্যে একটা মূল যুগের আরম্ভ হইছে। একটা মুক্তন