পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ংস্কৃত কলেজের সেক্রেটরী রসময় দত্ত পদত্যাগ-পত্র প্রেরণ করিলে (ডিসেম্বর ১৮৫০) পুরাতনের বাধা সরিয়া গেল। শিক্ষা-পরিষদ বঙ্গীয় গবর্মেন্টকে লিখিলেন “দশ বছর ধরিয়া বাবু রসময় দত্ত সংস্কৃত কলেজের সম্পাদকের কাজ করিয়া আসিতেছেন। সংস্কৃত ভাষায় তাহার জ্ঞান নাই বলিলেও চলে। তাহার উপর সারাদিন তিনি অন্যত্র দায়িত্বপূর্ণ কাৰ্য্যে নিবিষ্ট থাকেন। কলেজের যখন কাজ চলে, তখন তিনি কলেজে উপস্থিত থাকিতে পারেন না। ফলে কলেজের শৃঙ্খলা শিথিল হইয়াছে। হাজিরা-খাতার উপর মোটেই নির্ভর করা চলে না, এবং নানারূপ গোলমাল ও অব্যবস্থায় কলেজের অবস্থা সঙ্গীন হইয়া দাড়াইয়াছে,—কাৰ্য্যকারিত একান্তভাবে ক্ষুঃ হইয়াছে। অথচ এই বিদ্যালয় এক বিপুল ব্যয়সাধ্য অনুষ্ঠান, কারণ কলেজের ছেলেদের নিকট হইতে মাহিন লওয়া হয় না। বাংলায় সাহিত্য-সৃষ্টি ও সাহিত্যের উন্নতি বিধানের যে আন্দোলন সুরু হইয়াছে, কম্মিষ্ঠ লোকের হাতে পড়িলে সংস্কৃত কলেজ সেই আন্দোলনের সহায়করূপে অনেক কাজ করিতে পারে । বাবু সময় দত্তের পদত্যাগে এই প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনের একমাত্র অন্তরায় দূর হইল। কলিকাতা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ডাঃ শ্ৰেষ্কার আব্বী ভাষায় যেরূপ স্থপণ্ডিত, সেইরূপ সংস্কৃত ভাষায় ব্যুৎপন্ন কোন পাশ্চাত্ত্য পণ্ডিত পাওয়া যাইতেছে না। এক্ষেত্রে শিক্ষা-পরিষদের মতে, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ শৰ্ম্ম একমাত্র উপযুক্ত ব্যক্তি। এক দিকে তিনি ইংরেজী ভাষায় অভিজ্ঞ, অন্য দিকে সংস্কৃত-শস্ত্রে প্রথম শ্রেণীর পণ্ডিত। শুধু তাহাই নহে, তাহার মত উদ্যমশীল, কৰ্ম্মনিপুণ দৃঢ়চিত্ত লোক বাঙালীর মধ্যে দুর্লভ। তাহার রচিত বেতাল পঞ্চবিংশতি ও