পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

曲粤 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় - অর্থসঙ্গতি দেওয়ার জন্য নলীরামবাবু ও প্রসন্ন ல்ே এবং পৃথিবীতে প্রচারের জন্য ভীমদেব খোশনবীসকেও স্বষ্টি করিতে হইল। আনমঠের "বন্দে মাতরম্ সঙ্গীতে তার পূর্ণ পরিণতি, মৃণালিনীতে যাহার স্বত্রপাত, ‘কমলাকাস্তে সেই মাতৃমন্ত্রের প্রথম সার্থক প্রকাশ। বাঙালী-জাতির পরাধীনতার স্বগভীর ধিক্কার এখানেই বঙ্কিমচন্ত্রের মনে নিদারুণ তীব্রতায় ফুটা উঠিয়াছে। মাতৃপূজার স্বয় •শিখাইয়া বঙ্কিমচন্দ্ৰ সৰ্ব্বপ্রথম আমাদের জাতীয়তাবোধ জাগ্ৰত করিয়া আমাদিগকে সচেতন করিয়াছেন এই কমলাকাস্তে। আধুনিক বাঙালীর রাষ্ট্রীয় সাধনার ইতিহাসে প্রকৃত পক্ষে কমলাকান্ত হইতেই আমাদের স্বাত্রা সুরু । বর্তমান জগৎ, সুতরাং বাংলা দেশও অধুনা ভোগস্থখলোলুপতায় উন্মাদের মত যে লেলিহান বাসনাবঙ্কির ইন্ধন জোগাইবার জন্য ছুটিতেছে, এবং যে সোশ্বালিজমের প্রচণ্ড আঘাতে ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান প্রায় ভাঙিয়া চুরমার হইয়া গেল, উনবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় পানেই কমলাধান্ত তাহারও দুঃস্বপ্ন দেখিয় পতঙ্গে" ও "বিড়ালে" যে মতবাদ ব্যক্ত করিয়াছিল, আজও তাহা পুরাতন ভূঁইয়া যায় নাই— "কমলাকাস্তের মনের এই চিরসজীবতা ও নবীনতা বিস্ময়কর। অদ্ভূত প্রতিভাসম্পন্ন না হইলে কোনও সাহিত্যস্রষ্টা কালের গণ্ডী অতিক্রম করিয়া আসিতে পারেন না ; বঙ্কিমচন্দ্র ‘কমলাকাস্তে যে ক্ষেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। দেশ ও কা৭ে সঙ্কীর্ণ ক্ষেত্রে দাড়াইয়া তিনি অনাগত ভবিষ্যৎকে প্রত্যক্ষ করিয়া এবং বহিঃপৃথিবীর প্রচণ্ড সংঘাত আশঙ্কা করিয়া বাঙালীকে স্বদেশের স্বল্পপরিসর মৃত্তিকায় সচেতন ও আত্মস্থ হইয়া দাড়াইবার যে ইঙ্গিত দিয়া গিয়াছেন, তাহ দিয়াই আমরা তাহার প্রতিভার বিরাটুত্বের বিচার করিব। শাশ্বত