পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কৃত কলেজের পুনর্গঠন ఫిఫి ‘চেম্বার্সের বায়োগ্রাফি'র বঙ্গাতুবাদ সমস্ত গবর্মেন্ট স্কুলকলেজেই বাংলার পাঠ্য পুস্তক হিসাবে পড়ান হয়। তিনি অধ্যক্ষ হইলে বর্তমান সহকারী সম্পাদক শ্ৰীশচন্দ্র বিদ্যারত্বকে সাহিত্য-শাস্ত্রের অধ্যাপকের পদ দেওয়া যাইতে পারে। সম্পাদক ও সহ-সম্পাদকের পদ উঠিয়া যাইবে। এই দুই পদের বেতন মোট ১৫০ টাকা। অধ্যক্ষকে এই ১৫০ টাকা দিলেই চলিবে। সুতরাং এই পরিবর্তনে ব্যয়বুদ্ধির কোন আশঙ্কা নাই । গবর্মেন্টের অনুমোদনের অপেক্ষায় সম্প্রতি অস্থায়িভাবে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্রের উপরই সংস্কৃত কলেজের তত্ত্বাবধানের ভার অর্পিত হইল।” ( 8 জানুয়ারি ১৮৫১, অনূদিত ) ৷ সরকার শিক্ষা-পরিষদের প্রস্তাব মঞ্জুর করিলেন। বিদ্যাসাগর মাসিক দেড় শত টাকা বেতনে সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল হইলেন ( ২২ জানুয়ারি ১৮৫১ )। এক কথায় কলেজের সংস্কার, পুনর্গঠন ও পরিবর্তনের পূর্ণ অধিকার তাহার হাতে দেওয়া হইল। সংস্কৃত কলেজের পুনর্গঠন ১৮৫১ হইতে ১৮৫৩ খ্ৰীষ্টাব্ধের সংস্কৃত কলেজের ইতিহাস প্রকৃতপক্ষে ইহার পুনর্গঠনের ইতিহাস । বিদ্যালয়ের শাসনৰ্শস্থলার দিকে বিদ্যাসাগর তীক্ষ দৃষ্টি রাখিলেন। নিয়মিত উপস্থিতির দিকে নজর রাখা হইল ; সামান্য কারণে শ্রেণীত্যাগ এবং অকারণ গণ্ডগোল ও বিশৃঙ্খলা প্রভৃতি নিবারণ করার দিকেও যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হইল। প্রতি অষ্টমী ও প্রতিপদে কলেজের ছুটি বন্ধ করিয়৷ সপ্তাহান্তে রবিবারে ছুটির দিন ধাৰ্য্য হইল। পূৰ্ব্বে কেবল ব্রাহ্মণ ও বৈদ্য ছাত্রই সংস্কৃত কলেজে পড়িবার অধিকারী ছিল । কিন্তু বিদ্যাসাগর ছিলেন দেশে শিক্ষাবিস্তার