পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*bo বঙ্কিমচন্ত্র চট্টোপাধ্যায় জীবনে শিল্পকৃষ্টিকেই জীবনের চরম কীৰ্ত্তি মনে করিতে না পারিলেও শেষ পর্যন্ত শিল্পী বঙ্কিমচন্ত্রের মৃত্যু ঘটে নাই। যুদ্ধপর্মের শেষের দিকে প্রচার ও নবজীবন মারফৎ বঙ্কিমচন্দ্র নানা তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়া একটা ব্যাবহারিক হিন্দুধৰ্ম্ম আবিষ্কারের প্রয়াস পাইয়াছিলেন—‘ধৰ্ম্মতত্ত্বে, কৃষ্ণচরিত্রে এবং তাহার ‘গীতা ও বেদের ব্যাখ্যায় তাহার সাক্ষ্য আছে। তিনি কদাপি জনতার মুখ চাহিয়া আপনার মতকে খাটাে করেন নাই, সকল গোড়ামি ও অবিশ্বাসকে প্রয়োজনমত উপেক্ষা করিয়া নিৰ্ভীকভাবে নিজের মত প্রচার করিয়াছেন। র্তাহার আশ্চৰ্য্য শিল্প-প্রতিভার গুণে এগুলিও বাংলা-সাহিত্যের বিষয় হইয়া আছে এবং চিরকাল থাকিবে । শান্তিপৰ্ব্ব o *్క যুদ্ধপর্কের শেষ কয়েক বৎসর হইতেই বঙ্কিমচন্ত্রের বনে শান্তিপৰ্ব্ব প্রকৃতপক্ষে আরম্ভ হয়। অর্থাৎ প্রচার ও নবজীবনের স্বচনাকাল হইতেই তিনি শাস্তির পথসন্ধানে বাহির হইয়াছিলেন এবং পিতামহ ভীষ্মের মত পথভ্রান্ত বাঙালীকে পথের নির্দেশ দিতে চেষ্ট করিয়াছিলেন। ভারতীয় ঐতিহকে তিনি সম্মান করিতেন এবং সম ময়িক অবস্থা পৰ্যালোচনা করিয়া বুবিয়ছিলেন যে, আত্মবি হিপূজাতির অবনতির কারণ। আত্মলিতকে আত্মসচেতন করাই উহার শেষ জীবনের লক্ষ্য ছিল। এই মহন্ধুদ্দেশ্যে তিনি এক প্রকার আত্মোৎসর্গ করিয়াছিলেন। 'বঙ্গদর্শনের তৃতীয় বংগরে ১২৮১ বঙ্গান্ধের চৈত্র মাসে বঙ্কিমচন্দ্র অক্ষয়চন্দ্র সরকার-সম্পাদিত ‘প্রাচীন কাব্য সংগ্রহের সমালোচনা