পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কৃত কলেজের পুনর্গঠন ○○ ধারণা জন্সিয়াছিল, এই সুধী অধ্যক্ষের সহিত সাক্ষাৎ আলাপে আমার যে ধারণ দৃঢ়তর হইল, এই আলাপে আমি যথেষ্ট আনন্দলাভ করিলাম।” (অনূদিত) কলেজের পঠন-ব্যবস্থা প্রভৃতির বিষয়ে বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করিযার পর তিনি কাশী ও কলিকাতা—এই উভয় সংস্কৃত কলেজের অবস্থার তুলনামূলক সমালোচনা করিয়া বারাণসীতে আবশ্বিক ইংরেজী শিক্ষা প্রবর্তিত করা যে সম্প্রতি অসমীচীন, এই মত প্রকাশ করেন। তার পর কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে নূতন কতকগুলি পুস্তক প্রবর্তন ও ছাত্রদের ভাবগ্রহণ করিবার শক্তি সম্বন্ধে তিনি যে মতামত প্রকাশ করেন, তাহা বিদ্যাসাগরের পরবর্তী রিপোর্ট হইতে জানা যাইবে । নিম্নলিখিত মন্তব্য প্রকাশ করিয়া ডা: ব্যালান্টাইন তাহার রিপোর্ট শেষ করিয়াছেন – “ভারতীয় পাণ্ডিত্য ও ইংরেজী বিজ্ঞানের মধ্যে যে প্রভেদ বর্তমান, তাহা ঘুচাইবার জন্যই আমি এই সকল কথার অবতারণা করিয়াছি।...কলেজে সংস্কৃত ও ইংরেজী এই উভয়বিধ পাঠ্যই পড়িতে হয় বটে, কিন্তু বৰ্ত্তমান অবস্থায় উভয় ভাষার শাস্ত্রের কোথায় মিল, কোথায় অমিল—তাহা সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের নিজেদেরই ঠিক করিয়া লইতে হয়। ছাত্রদের অবধারণ যে সন্তোষজনক নয়, ইহা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি এবং সেই জন্যই কলেজের নির্দিষ্ট পাঠ্য ছাড়া অতিরিক্ত আরও যে যে গ্রন্থের প্রচলন প্রয়োজন, তাহার প্রস্তাব করিয়াছি...।” (অনূদিত ) শিক্ষা-পরিষদ ডাঃ ব্যালান্টাইনের রিপোর্ট বিদ্যাসাগরের নিকট পাঠাইয়া দিলেন ( ২৯ আগস্ট ১৮৫৩)। বিদ্যাসাগর ডা: ব্যালান্টাইনের বর্ণিত প্রণালীর সমর্থন করিতে না পারিয়া পরিষদের নিকট যে উত্তর প্রেরণ করেন, তাহার বঙ্গানুবাদ নিম্নে দেওয়া হইল :– Vo