পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ e ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কলেজের পাঠ শেষ করিতে তাহার এখনও তিন বৎসর বাকি এবং ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যে সে এখনও বেশী দূর অগ্রসর হয় নাই।”* শিক্ষা-পরিষদ সব দিক বিবেচনা করিয়া নিম্নলিখিত মন্তব্য প্রকাশ করিলেন :– "ডা: ব্যালাণ্টাইন সংস্কৃত কলেজের বর্তমান শিক্ষা-ব্যবস্থা ও উন্নতির সম্বন্ধে এমন অনুকূল মত প্রকাশ করিয়াছেন দেখিয়া শিক্ষাপরিষদ আনন্দিত।.পরিষদ চান যে, অধ্যক্ষ বিদ্যাসাগর ডা: ব্যালাণ্টাইনের সংক্ষিপ্ত-সার ও অন্যান্য গ্রন্থ অবাধে ব্যবহার করেন। র্তাহার নিজের ও র্তাহার অধীন শিক্ষকদের পাঠনার অন্তর্গত বিষয়সমূহের অর্থ বুঝাইবার ও উদাহরণ দিবার জন্ঠ"লি অত্যন্ত কাজে লাগিবে। ডাঃ বালাণ্টাইনের গ্রন্থের সহিত পরিচয়ে এই সব বিষয়ের শিক্ষার্থিগণ যথেষ্ট উপকৃত হইবে। তাহার বিদ্যালয়ের উন্নতি সম্বন্ধে অধ্যক্ষ যেন ডা: ব্যালান্টাইনের সহিত সৰ্ব্বদা পত্র-ব্যবহার করেন। কাশী ও কলিকাতী—এই দুইটি প্রধান বিদ্যালয়ের কৰ্ত্তারা শিক্ষা-ব্যবস্থার ক্রমিক উন্নতি সম্বন্ধে অবাধে মতের বিনিময় করেন, ইহাই শিক্ষা-পরিষদের ইচ্ছ।” ( ১৪ সেপ্টেম্বর ১৮৫৩, অনূদিত) সংস্কৃত কলেজ নূতন করিয়া গড়িবার জন্য বিদ্যাসাগর প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছিলেন। এমন সময় শিক্ষা-পরিষদের এই আদেশ তাহার ক্রোধ উদ্দীপ্ত করিয়া তুলিল। তিনি নিজ কার্য্যে অন্তের হস্তু প সহিতে পারিতেন না এবং যাহ। ঠিক বলিয়া মনে করিতেন, হইতে এক চুলও নড়িতেন না। ৫ অক্টোবর ১৮৫৩ তারিখে শিক্ষা-পরিষদের • ইংরেজীতে লিখিত বিদ্যাসাগরের মূল পত্ৰখানি আমার Tahuarchandra Widyasagar as on Educationist প্রবন্ধে { মডার্ণ রিভিয়ু, অক্টোবর ১৯২৭) মুদ্রিত হইয়াছে।