পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলায় অমিত্ৰাক্ষৰ ছক্ষো গ্রবর্তন ঃ কাব্য রচনা BP ছদ-প্রবর্তৰে শুধু কাৰ্য নয়, বাংল-গন্ধও সতেজ ও গুজৰী হুইবার जदकांचं १ॉईझांझ । মেঘনাদবধ কাব্য’ । তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যের পর ১৮৬১ খ্ৰীষ্টান্ধে মধুসূদন অষিাক্ষর ছন্দে তাহার অমর মহাকাব্য 'মেঘনাদবধ দুই খণ্ডে প্রকাশ করেন। ইহার প্রথম খণ্ড ( ১-৫ সর্গ) ১৮৬১ খ্ৰীষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে, এবং দ্বিতীয় খণ্ড (৬-৯ সর্গ ) ঐ বৎসরের প্রথমার্দ্ধে প্রকাশিত হয়। রাজনারায়ণ বস্তু “মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচন” প্রবন্ধে যথার্থই লিখিয়াছিলেন :– ...স্বদেখে একটি মহাকবির উদয় জাডিসাধারণের আনন্দের কারণ বলি বিবেচনা করা কর্তব্য। মাইকেল মধুসূদন দ্বত্ব এই শ্রেণীর কবি । তিনি একখানি খণ্ডকাব্যে যে বঙ্গভূমিকে “গুমা জন্মদে” বলিয়া সম্বোধন করিয়াছেন, সেই বঙ্গভূমি র্তাহাকে প্রসব করিয়া প্রকৃত গৌরবাষ্পদই হইয়াছেন। বর্ণনার ছটা, ভাবের মাধুরী, কক্ষণ বুমের গাঢ়ত, উপমা ও উৎপ্রেক্ষার নির্বাচন-শক্তি ও প্রয়োগ-নৈপুণ্য অনুধাবন করিলে তাহার মেঘনাদবধ” বাক্ষালাভাষায় অদ্বিতীয় কাব্য বলিয়। পরিগণিত হইবে।-- তাহাকে বাঙ্গালা সাহিত্যের গেটে আখ্যা প্রদান করা যাইতে পারে। গেটে যেমন অসম্পূর্ণ জৰ্ম্মন ভাষাকে সমৃদ্ধিশালী করিয়৷ তুলিয়াছিলেন, ইনিও সেইরূপ বাঙ্গালা ভাষাকে সমৃদ্ধিশালী করিয়াছেন। মেঘনাদের রচনা প্রণালী তিলোত্তম অপেক্ষ উৎকৃষ্ট। আমরা যখনি ইহা পাঠ করি, তখনি ইহা নূতন বোধ হয়। অসাধারণ কবির রচনার প্রকৃত লক্ষণ এই যে, তাহা কখনই গুরুত্বৰ র অরুচিকর হয় না। - 8