পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ-প্রত্যাগমন । bo . ঋণস্বরূপ বিদ্যাসাগরের নিকট হইতে যে টাকা লইয়াছিলেন,তাহার সবটা শেষপৰ্য্যস্ত পরিশোধ করিতে পারেন নাই। অনুকূলচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ঐশচন্দ্র বিদ্যারত্ব প্রভৃতির নিকট ধার করিয়া বিদ্যাসাগর বিপন্ন মধুসূদনকে সাহয্য করিয়াছিলেন—ইহা তাহার মহত্বের পরিচায়ক সন্দেহ নাই। কিন্তু মধুসূদন আর যাহাই হউন, অকৃতজ্ঞ ছিলেন না; তিনি স্বীয় সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া বিদ্যাসাগরকে ঋণমুক্ত করিয়াছিলেন। ১৩ মাঘ ১২৭৪ তারিখে লিখিত একখানি কবালার দ্বারা মধুসূদন চক মুনকিয়া ও চক গদারডাঙ্গ—এই উভয় মহাল মহাদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মোক্ষদা দেবীকে কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রয় করিলেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৮ তারিখে এই দলিল রেজেস্ত্রীকৃত হয়। ইহার কয়েক পংক্তি নিম্নে উদ্ধৃত করিতেছি – “এইক্ষণ আমি শ্রযুত বাৰু অনুকূলচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট প্রায় ১৯,০০০ উনিশ হাজার টাকার দাইক হইয়াছি—তাহা পরিশোধের জন্ত আমি উক্ত উভয় মহাল সংক্রান্ত আমার দরহস্ত হকুক মবলগে ২০,০০০ বিশ হাজার টাকা মূল্যে আপনার নিকট বিক্রয় করিলাম।.* ১৮৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দের মে মাসে মধুসূদনের পত্নী হেনরিএটা পুত্রকন্যা সহ কলিকাতা আদিয়া পৌছিলেন। নিয়মিতভাবে অর্থ না পাওয়ায় ইউরোপে তাহারা অসুবিধা ভোগ করিতেছিলেন। ইহার অল্প দিন পরেই মধুসূদন হোটেল ত্যাগ করিয়া ৬নং লাউডন ষ্ট্রটের উদ্যানবেষ্টিত দ্বিতল ভবন ভাড়া করেন। ব্যারিষ্টারিতে তখন র্তাহার মন্দ আয় হইতেছিল না। মকদ্দমা উপলক্ষে তিনি মধ্যে মধ্যে মফস্বলেও যাইতেন।

  • সমগ্র দলিলখানি ১৩৩৮ সালের জ্যৈষ্ঠ-সংখ্যা ভারতবর্ষের ৯৭০-৭১ পৃষ্ঠার স্কৃতি , शरैब्रांप्इ ! .