পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

 oe: মধুসূদন দত্ত করিয়া আমার পরম আনন্দ হইত। আমি তখন হইতেই জানিতাম , যে, তুমি অতি উংকৃষ্ট কাব্য রচনা করিতে সমর্থ হইবে, কিন্তু সেই কাব্য যে মেঘনাদবধ বীরাঙ্গন, রজান, অথবা হেক্টরব্য হইবে । তাহা আমি স্বপ্নেও মনে করি নাই। তুমি ইংরাজীতে কোন উৎকৃষ্ট কাব্য লিখিয়া ইংরাজ-সমাজে প্রতিষ্ঠিত হইবে, ইহাই আমি মনে করিতাম। ফলতঃ, তোমার শক্তির প্রকৃত গরিমা তখন অপ্রকাশিত এবং আমার বোধাতীত ছিল। তুমি ত্ৰিয়মাণ মাতৃভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করিলে, তুমি ইহাতে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট মহাকাব্য রচনা করিলে। তাই তোমার এই বিজাতীয় ভাষা অধ্যয়নের পরিশ্রম সার্থক, তোমার এ বঙ্গভূমিতে জন্মগ্রহণ সার্থক।••• ঢাকায় সস্বৰ্দ্ধনা ১৮৭১ খ্ৰীষ্টাব্দে খুব সম্ভব সেপ্টেম্বর মাসে একটি মকদম উপলক্ষে পীড়িত অবস্থায় মধুসূদনকে ঢাকায় প্রায় ১০ দিন অবস্থান করিতে হয়। এই সময় ঢাকাবাসীরা পোগোজ স্কুলে তাহাকে একখানি মানপত্র প্রদান করেন। অভিনন্দন-পত্রের খসড়া না-কি কালীপ্রসন্ন ঘোষ বিদ্যাসাগর প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন। এই সম্বৰ্দ্ধন-প্রসঙ্গে যে বিবরণ সংবাদপত্রে ঐকাশিত হয়, তাহা আমি ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৭২ তারিখের ‘অমৃত বাজার পত্রিকা হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছি। বিবরণটি এইরূপ :–

  • ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৭১ তারিখের এডুকেশন গেজেটে ঢাকার হিন্দু ংিগুৈণীি হইতে

নিয়াংশ উদ্ধৃত হইয়াছিল – - "शउ अबिराष्ट्र झोकाग्न छामको अछाम्न रुझ्-दिदांइ बिदाइ बिशप्द्रद्र आँलालब হয়, ঐযুক্ত পণ্ডিত নাথ তর্কপঞ্চানন মহাশয় মমুৰচনে বহু বিবাহের ব্যবস্থার স্থল উল্লেখ কঠিয়াছিলেন । তথায় মাইকেল মধুসুদন দত্ত উপস্থিত ছিলেন। শুনিয়া দুঃখিত হইলাম, দত্তজ মহাশয় মঘাদি শাস্ত্রর দিনা করিয়তাহা বুঢ়ীগঙ্গায় নিক্ষেপ , করিতে উপদেশ দিয়াছেন।”