পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ-প্রত্যাগমন rast: মধুসূদনকে ধরিলেন। মধুসূদনের স্বাস্থ্য তখন ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে, তাহার উপর অর্থাভাব। থিয়েটারের কর্তৃপক্ষ তাহাকে অগ্রে “উপযুক্ত মূল্য দিয়া ও পীড়াকালীন সাহায্য দান করিয়া” তাহাকে সম্মান করিয়াছিলেন। মধুসূদন পীড়িত-শয্যায় ‘মায়া-কানন নামে একখানি সম্পূর্ণ নাটক এবং “বিষ না ধমুগুণ’ নামে আর একখানি নাটকের কতকাংশ রচনা করিতে পারিয়াছিলেন। মধুসূদনের মৃত্যুর পর, ১৮৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দের মার্চ মাসে ‘মায়া-কানন’ বেঙ্গল থিয়েটার কর্তৃক প্রকাশিত হয়। পুস্তকের বিজ্ঞাপনে প্রকাশ :— বঙ্গ-কবি-শিরোমণি ও সুপ্রসিদ্ধ বঙ্গীয় নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্ত পীড়িত-শয্যায় শয়ন করিয়া “মায়া-কানন” নামে এই নাটকখানি রচনা করেন। বঙ্গরঙ্গভূমিতে অভিনীত হইবার উদ্দেশে আমরাই তাহকে দুইখানি উৎকৃষ্ট নাটক প্রণয়ন করিতে অনুরোধ করিয়াছিলাম। তদনুসারে তিনি 'মায়া-কানন’ নামে এই নাটক ও ‘বিষ না ধনুগুণ নামে আর একখানি নাটকের কতক অংশ রচনা করেন। লেখা সমাপ্ত হইবার অগ্রে তাহাকে উপযুক্ত মূল্য দিয়া এবং , পীড়াকালীন সাহায্য দান করিয়া আমরা উভয়েই ঐ দুই মাটকের অধিকারিত্ব স্বত্ব ও বঙ্গরঙ্গভূমে অভিনয়ের অধিকার ক্রয় করিয়াছি। •••গ্রন্থকারের জীবনকালের মধ্যে এথানি প্রকাশ করিতে পারা , গেল না, বড় আক্ষেপ থাকিয়া গেল।---সংবাদ প্রস্থ করের সহসম্পাদক প্রযুক্ত ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বিশেষ পরিশ্রণ স্বীকার করিয়া । ইহার আদ্যোপান্ত দেখিয়া দিয়াছেন। ‘বিষ না ধমুগুণ সমাপ্ত করিয়া শীঘ্র প্রকাশ করা যাইবে। কলিকাতা । পৌষ,—১২৮০। শ্ৰীশরচ্চন্দ্র ঘোষ। শ্ৰীঅখিলনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশক। নগেন্দ্রনাথ সোম (‘মধু-স্মৃতি, পৃ. ৫২৭) ও অধ্যাপক ঐপ্রিয়রঞ্জন