পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨ বিহারিলাল চক্রবর্তী প্রস্ফুটিত হয়। তাছার স্বৰ্গীয় সৌরভ চিরদিন জীবনকে পরমাননয় করিয়া রাখে। ক্রমে ক্রমে সমস্ত বিশ্ব আপনার হইয়া যায়। এই অমায়িক আত্মতাব দেবন্ধৰ্ব্বন্ত। ইহারই নাম পরমার্থ, স্বাৰ্থ নছে। আমি হিন্দু, যেহেতু হিন্দুকুলে জন্মগ্রহণ করিয়াছি। অতি সৌভাগ্যক্রমে অন্য কোন ধৰ্ম্ম গ্রহণ করি নাই, করিবও না। আমার বাটতে বিগ্রহ আছেন। নিত্য তাছার পূজা-ভোগ হইয়া থাকে। তাহাকে লইয়। আমরা সপরিবারে মুখে আছি। বিনা চেষ্টায় আপনা আপনি সকলের মনে একটি নি:স্বাৰ্থ ভক্তিভাব বিরাজ করিতেছে। ( 'সাহিত্য-সংহিতা, কাৰ্ত্তিক ১৩২১, পৃ. ৩৫৯-৬০ ) বিহারিলাল ও বাংলা-সাহিত্য বাংলা-সাহিত্যের দুর্ভাগ্য, তাছার নিজস্ব কবিত্ব-প্রতিভা ও কাব্যসম্পদ দিয়া এখনও কবি বিহারিলালের সমুচিত প্রতিষ্ঠা হয় নাই। বাংলা দেশের আধুনিক পাঠক-সমাজ রবীন্দ্রনাথ মারফত তাহার সামান্ত পরিচয় পাইয়াছেন-রবীন্দ্রনাথের গুরু হিসাবেই বর্তমানে তাহার খ্যাতি, কবি হিসাবে নয়। অথচ এই বিহারিলালই এক দিন মহাকাব্যমুখরিত বাংলা-সাহিত্যে গীতিকাব্যের নবতন সম্ভাবনার স্বচনা করিয়াছিলেন ; বাঙালী কবি-সমাজের বহিমু ধী ( objective ) দৃষ্টিকে অস্তমুখী ( subjective) করিয়াছিলেন ; এই নৃতম পরীক্ষায় নূতন ভাষা ও ছনোর প্রবর্তনও তিনি করিয়াছিলেন। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সাক্ষ্য স্মরণীয় হইয়া আছে। তিনি বলিয়াছেন,— বিহারিলালের কণ্ঠ সাধারণের নিকট তেমন সুপরিচিত ছিল ন। তাছার শ্রোতৃমণ্ডলীর সংখ্য অঙ্গ ছিল এবং তাছার সুমধুর