পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ు: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর দেখিবার আর প্রয়োজন নাই” (৬ জুলাই ৯ ১৮ ) । স্বগ্রামে তিনি বালকদের জন্য একটি অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপিত করিয়াছিলেন (ইং ১৮৫৩)। দক্ষিণ-বাংলার স্কুল-সমূহের ইন্‌স্পেক্টর লঙ্গ সাহেব বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করিয়৷ এইরূপ মন্তব্য প্রকাশ করেন :– “বীরসিংহ বিদ্যালয় –এই স্কুলটি পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং তাহারই সম্পূর্ণ ব্যয়ে পরিচালিত। এ কথা ন। বলিলে এই সুবিখ্যাত জনহিতৈষীর প্রতি অবিচার করা হয় ; স্কুলগৃহের জন্য তিনি বেশ উপযোগী স্থানে একখানি সুন্দর বাংল প্রস্তুত করিয়া দিয়াছেন। ছয়-সাত জল শিক্ষকের বেতন তিনি নিজেই দেন। ছাত্রদের নিকট মাহিন লওয়া না, বিনামূল্যে তাহাদের সকল রকম বই দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পণ্ডিতের নিজের বাড়ীতে প্রায় ৩০ জন দরিদ্র ছেলের আহারের ও থাকিবার ব্যবস্থা আছে ; দরকার পড়িলে বস্থাদি পৰ্য্যস্ত যোগান হয়। অমুখে তাহীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ; সকলের সম্বন্ধেই এমন যত্ন লওয়া হয় যেন প্রত্যেকেই পরিবারের এক জন । এখানে সংস্কৃতই প্রধান পাঠ্য। উচ্চ শ্রেণীতে ইংরেজী এবং নিম্ন শ্রেণীতে বাংলাও পড়ান হয়। স্কুলে আটটি শ্রেণী আছে। ছাত্র-সংখ্যা ১৬০। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রেরা ইংরেজীতে ভালই পরীক্ষা দিয়াছিল, তবে তাঁহাদের উচ্চারণ শুদ্ধ নয়। বাংলা সম্বন্ধে ছেলেরা বিশেষ মনোযোগ দেয় না। বাংলায় লেখা বিজ্ঞানের বই চালাইতে আমি পরামর্শ দিম, , । ছেলের সংস্কৃত ভালই জানে।” ( ২০ মে ১৮৫৯ ) শেষ-জীবনে বিদ্যাসাগর শহরের কৰ্ম্মকোলাহল হইতে মাঝে মাঝে মধুপুরের মিকট কার্যাটারের নির্জন ওতাল পল্লীতে আসিয়া বাস করিতেন। কাৰ্ম্মাটার স্টেশনের ধারেই বাগান সমেত র্তাহার