পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, কৰ্ম্ম জীবন » সাংক-মণ্ডলীর ঈশ্বরপ্রেম উদীপ্ত করশাধ আদি ব্রাহ্মসমাজে উপাসনা কালে কয়েক বার বক্তৃতা করিয়াছিলেন।..পরে বিষ্ক-শিক্ষাও বিষয়কাৰ্য্যের ব্যস্ততা প্রযুক্ত অনুবকাশ নিবন্ধন শুমচরণবাৰু আর নিয়মিতরূপে আদি-ব্ৰাহ্মসমাজে উপস্থিত হইতে পারিতেন না । কিন্তু মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি আদি-সমাজের মত ও বিশ্বাস পোষণ করিয়া আসিয়াছিলেন ।. তাহার ‘ওঁকার’ ও ‘গায়ন্ত্রীর’ উপরে বিশেয নিষ্ঠ ছিল। তিনি বলিতেন ‘এক গায়ত্রীতেই সাধকের আত্মোন্নতির প্রকৃষ্ট উপায় নিহিত আছে । ‘অর্থ-সহ ত্রিপাদ-গায়ত্রী উচ্চারণেই সাধকের উপাসনার গুঢ় তাৎপৰ্য্য সংগ্ৰাধিত হইতে পারে । তিনি স্বয়ংও মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত সেই ওঁকার ও গায়ত্রীবাক্য অবলম্বন করিয়া পরব্রহ্মের ধ্যানধারণা করিতে করিতেই মানবলীলা সম্বরণ করিয়াছেন।”-বেচারাম চট্টোপাধ্যায় : ‘মহাত্ম শুমাচরণ সরকারের জীবন-চরিত, পৃ. ৩৫-৩৭ । আদি ব্রাহ্মসমাজের সহিত শুমাচরণের যোগের কথ। "রাজনারায়ণ বসুর আত্ম-চরিতে এইরূপ উল্লেখ আছে :– “...প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষর করিয়া (ইং১৮৪৬ সালের প্রারম্ভে) ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করি,...ক্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াই পরম শ্রদ্ধাস্পদ দেবেঞ্জ বাবুকে এক পত্র লিখি ।--দেবেন্দ্র বাবু এই পত্র পাইয়া আমার সঙ্গে কথোপকথন করিতে এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারার্থ আমার সহিত পরামর্শ করিতে ও তদ্বিষয়ে আমার সাহায্য লইতে প্রত্যহু গাড়ী পাঠাইতেন। আমি গিয়া দেখি, আমার ভূতপূৰ্ব্ব শিক্ষক দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্যবস্থদর্পণ-প্রণেতা বিখ্যাত খামাচরণ সরকার তখন তাহার প্রধান সঙ্গী। দুর্গাচরণ বাবু ইংরাজীতে উপনিষদ তরজমা করেন এবং শুামাচরণ বাবু বকৃত করেন। তামাচরণ বাবু যে দিনসমাজে বস্তৃত৷

    • " ۔ پہ: ... ::: ...