পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীশিক্ষ-বিস্তার స్ప్రి বাংলাধানিক ধ্বংসাবশেষ আজিও দেখিতে পাওয়া যায়। প্রতিবেশী অসভ্য সাওতালদের তিনি এতই ভালবাসিতেন যে, তাহদের ছেলেদের শিক্ষার জন্তু নিজব্যয়ে এখানে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া দিয়াছিলেন । এই বিদ্যালয়ের জন্য তাহার মাসিক কুড়ি টাকা ব্যয় হইত । স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তার ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাবের পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষীয় নারীদিগের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার সরকার নিজের কৰ্ত্তব্যের অন্তর্গত বিষয় বলিয়া মনে করিতেন না। ইতিপূর্বেই কিন্তু রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখ কয়েক জন সন্ত্রান্ত মহোদয় এবং খ্ৰীষ্টান মিশনরীগণ স্ত্রীশিক্ষার কিছু স্বচনা করিয়া রাখিয়াছিলেন। ৭ মে ১৮৪৯ তারিখে কলিকাতায় ভারত-হিতৈষী ড্রিঙ্কওয়াটার বীটন কর্তৃক একটি বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি তখন হইতেই যথেষ্ট সাফল্য লাভ করিয়াছিল। প্রথমে ইহার নাম ছিল—হিন্দু বালিকা-বিদ্যালয় ; পরে 'বীটন নারী বিদ্যালয়’–এই নৃতন নামকরণ হয়। গোড়া হইতেই বিদ্যাসাগরকে সহকৰ্ম্মী এবং উৎসাহী বন্ধুরূপে পাইবার সৌভাগ্য বীটন সাহেবের ঘটিয়াছিল। শিক্ষা-পরিষদের সভাপতিরূপে বাটন তাহার সহিত প্রথম পরিচিত হন। বিদ্যাসাগরকে এক জন অক্লাস্তৃকৰ্ম্মী গুণী ব্যক্তি বলিয়াই তাহার ধারণা জন্মিয়াছিল, তাই তিনি তাহাকেই বিদ্যালয়ের অবৈতনিক সম্পাদকরূপে কাজ করিবার জন্য ধরিলেন (ডিসেম্বর, ১৮৫০ ) । বিদ্যাসাগর আচারবদ্ধ দেশবাসীকে সচেতন করিয়া তুলিবার জন্য বিদ্যালয়ের বালিকাদের গাড়ীর দুই পাশে "কন্যাপ্যেবং পালনীয় শিক্ষণীয়াতিযত্নতঃ”—মকুসংহিতার এই শ্লোকাংশ খোদিত করিয়া দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন।