পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী bt রচনার নিদর্শন :-- “উজ্জয়িনী নগরে ভোজ নামে অতুল ঐশ্বৰ্য্যশালী অত্যন্ত পরাক্রান্ত এক রাজা ছিলেন। পরমেশ্বর তাহাকে এমত রূপ লাবণ্য সম্পন্ন ও কান্তিপুঞ্জ পরিপূর্ণ করিয়াছিলেন যে তাহাকে দেখিয়া পূর্ণচন্দ্রও আপনাকে হীনকাস্তি বিবেচনা করিয়া লজ্জিত হইতেন। ভোজরাজ অতিশয় বিদ্বান ও বুদ্ধিমান ছিলেন এবং এমত প্রতাপাম্বিত ছিলেন যে র্তাহার রাজ্যে ব্যাঘ্র ও ছাগ এক ঘাটে জল পান করিত। র্তাহার অধিকারে যথার্থ সদ্বিচার ও স্থায়াচার ছিল, তাহাঁতে কেহ কাহার প্রতি অত্যাচার করিতে পারিত না। এই নিমিত্তই রাজধানী এমত জনাকীর্ণ ছিল যে তিলা মাত্র স্থান শূন্ত ছিল না, তাবৎ নগর অর্তি অপূৰ্ব্ব অট্টালিকাতে স্থশোভিত ছিল। পথ ঘাট সকল এমত স্বন্দর ও স্বশৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল যে ঐ নগরকে পাশার ছক বলিয়া ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে। এবং সমস্ত রাজপথের প্রাস্তে জলপ্রণালী থাকাতে প্রজাগণের জলকষ্ট মাত্র ছিল না। প্রজারা সকলে ঐ রাজধানীতে নানা প্রকার বাণিজ্য ব্যবসায় করিত, তাহদের পণ্যবীথিক সকল সকল সময়েই নানা জাতীয় প্রব্যে স্থশোভিত থাকিত এবং সকল প্রজারই গৃহ ধন ধান্তে পরিপূর্ণ ছিল, কাহার কিছুমাত্র দুঃখ ও দুরবস্থা ছিল না, অতএব নগরের কোন স্থানে নৃত্য, কোন স্থানে সংগীত, কোন স্থানে ধৰ্ম্মশাস্ত্রের আলোচনা, কোন স্থানে দেবর্চিনা দিবারাত্রই হইত। ভোজরাজের সভাতে বহুসখ্যক মহা মহা পণ্ডিত উপস্থিত থাকিতেন। রাজা র্তাহাদের বিধানাকুসারে রাজকাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিতেন।” (*, *-* )