পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরচন্দ্র ঘোষ 8-ל לכ-8 צילג ū. শতকের প্রথমার্থে নাটক নাম দিয়া আত্মতত্ব কৌমুদ্ৰ , হাস্যার্ণব, কৌতুকসৰ্ব্বস্ব, রত্নাবলী প্রভৃতি কয়েকখানি গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছিল ; এগুলিকে বাংলা নাট্য-সাহিত্যের নীহারিকা-রূপ বলা যাইতে পারে। পরবর্তী অর্থাৎ প্রথম যুগের বইগুলি শুধু নামেই নাটক নয়, এগুলি অভিনয়োপযোগী নাটক হিসাবেই সংস্কৃত বা ইংরেজী রীতি অনুসরণে, অথবা উভয় রীতির সংমিশ্রণে রচিত হইয়াছিল। ইহাদের মধ্যে ১৮৫২ খ্ৰীষ্টান্ধের এপ্রিল মাসে যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্তের কীর্তুিবিলাস, ১৮৫২ খ্ৰীষ্টাব্দের শেষাশেষি তারাচরণ শীকদারের ভদ্রাঞ্জুন এবং ১৮৫৩ খ্ৰীষ্টান্ধের জুন মাসে হরচন্দ্র ঘোষের ‘ভানুমতী চিত্তবিলাস’(শেক্সপীয়রের ‘মাৰ্চেণ্ট অব ভেনিস অবলম্বনে রচিত) প্রকাশিত হয়। কয়েক মাস পরে প্রকাশিত হইলেও হরচন্দ্রের ‘ভানুমতী চিত্তবিলাস’ তারাচরণ শকদারের ‘ভদ্রার্জনের অন্ততঃ এক মাস পূৰ্ব্বে রচিত। সুতরাং হরচন্দ্রকে “বাংলা নাটকের অন্যতম জন্মদাতা" বলিলে বিশেষ দোষ দেওয়া যায় না। বস্তুত: বাংলা নাট্য-সাহিত্যের ইতিহালে হরচন্দ্রের দান বিশেষভাবে স্মরণীয়। জন্ম ও বংশ-পরিচয় ১৮১৭ খ্ৰীষ্টাবো হরচন্দ্র ঘোষের জন্ম হয়। র্তাহার পিতার নাম হলধর ঘোষ ; ইহাদিগের আদি নিবাস হুগলী জেলার অন্তর্গত খানাকুলকৃষ্ণনগরে। হলধর হুগলীর কলেক্টরের হেড ক্লার্ক ছিলেন। হুগলী