পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী רכו হরচন্দ্রের অন্ত নাটকগুলির তুলনায় ‘চারুমুখ-চিত্তহরা’র ভাষা সরল ও প্রাঞ্চল। দৃষ্টান্তস্বরূপ প্রস্তাবনা হইতে কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করিতেছি – সূত্রধার।--প্রিয়ে! সে কথাটি কি ? নর্তকী। তা আমি তোমাকে বলবে না। তোমার পেটে কথা থাকে না। আমি ষে মেয়ে-মানুষ, তবু কত কথা চেপে রাখি । তুমি পুরুষ হয়েও একটা কথা পেটে রাখতে পার না। স্বত্রধার। প্রিয়ে! তুমি এইবারখানি বল, আমি যেমন করে পারি পেটে রাখবো। আমার দিব্বি, যদি না বল। দেখ, আমি তোমা বই আর কাঙ্ক মই। নর্তকী। তোমার সঙ্গে যখন যার ভাব হয়, তাকেই তো ঐ কথা বল যে, প্রিয়ে! আমি নিতান্ত তোমারি । তোমার বই আর কারু নই। কিন্তু তুমি যে কার, তা তোমার বিধাতাই জানেন । (পৃ. ২) ইহাতে ১৪টি গান আছে। একটি উদ্ধৃত করিতেছি : রাগিণী গারা-ভৈরবী—তাল আড়া। অনিত্য সংসার মাঝে, নিত্য নিরাকার যেই। মুক্তিপদ লাভ হবে, মনে মনে ভাব সেই"। বিষয় বিষয়াবেশে, বিষণ্ণ হইবে শেষে ; পঞ্চস্তৃত আত্মা যেই, কবে আছে কবে নেই। ৪। বারুণী-বারণ বা স্বরার সঙ্গদোষ। ইং ১৮৬৪ (১৭৮৬ श्रु )। शृ. ७५ ।। ইহাতে স্বরাপানের অপুকারিত বিষয়ে দুইটি বস্তৃত মুদ্রিত হইয়াছে। প্রধানতঃ প্যারীচরণ সরকারের চেষ্টায় ১৮৬৩ খ্ৰীষ্টাব্দের