পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীশিক্ষ-বিস্তার &ణ ছোট লাট মনে করেন, আরও কিছু করা দরকার। তাই তিনি প্রস্তাব করিলেন, যখনই বালিকা-বিদ্যালয়ের জন্ত নি-খরচায় উপযুক্ত গৃহ এবং অস্তত: কুড়িটি ছাত্রী ভৰ্ত্তি হইবে, এমন একটা আশা পাওয়া যাইবে, তখনই স্কুল-পরিচালনার সমস্ত খরচ সরকার সরবরাহ করিবেন। ৭ মে ১৮৫৮ তারিখের পত্রে ভারত-সরকার বালিকা-বিদ্যালয় সম্পর্কে সরকারী সাহায্যের নিয়মাবলীর ব্যতিক্রম করিতে অস্বীকৃত হইলেন ; বলিলেন, উপযুক্ত পরিমাণে স্বেচ্ছাদত্ত সাহায্য না পাওয়া গেলে এরূপ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হওয়াই ভাল। ভারত-সরকারের এইরূপ আদেশ বিদ্যাসাগরের কাজে বাধা জন্মাইল । সরকারের অঙ্গুমোদন পাওয়া যাইবেই, এই মনে করিয়া বিদ্যাসাগর অনেকগুলি বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছিলেন। অবশু কথা ছিল, স্থানীয় অধিবাসীরাই উপযুক্ত বিদ্যালয়-গৃহ নিৰ্মাণ করিয়া দিবে, আর সরকার অন্য সব খরচ যোগাইবেন । পণ্ডিত এখন বুঝিান, র্তাহার সমস্ত পরিশ্রম ব্যর্থ হইয়াছে, এত কষ্টের স্কুলগুলি অ ম্বে উঠাইয়া দিতে হইবে। আর এক সমস্তা—শিক্ষকদের জন । প্রতিষ্ঠাবধি স্কুল হইতে র্তাহারা মাহিনা পান নাই। ৩০ ত ১৮৫৮ তারিখ পর্য্যন্ত ধরিলে তাহদের সকলের বেতন মোট প না হয়— &8\ും( | এই সম্পর্কে ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্‌ষ্ট্রাকৃশনকে নে ? ঈশ্বরচন্দ্রের ২৪ জুন তারিখের পত্ৰখানি পড়িলে ব্যাপারটা পরিষ্কাররূপে বুঝা যাইবে। বাংলায় পত্রখানির মৰ্ম্ম দেওয়া গেল :– “হুগলী, বৰ্দ্ধমান, নদীয়া এবং মেদিনীপুর জেলার অনেকগুলি গ্রামে বালিক-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলাম। বিশ্বাস ছিল, সরকারহইতে মঞ্জুরী পাওয়া যাইবে। স্থানীয় অধিবাসীরা স্কুল-গৃহ