পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ge মীর মশাররফ হোসেন দিনে দিনে বাড়তেছে বি.এ, এম, এর দল। মেয়ের সব শিক্ষালাভে হয়েছে পাগল রে । জাগ জাগ ওরে ভারত ঘুমিও না আর । তোমার ছেলে তোমার মেয়ে সকলই তোমার রে । গো-জীবন : ভারতের অনেক স্থানে গো বধ লইয়া বিশেষ আন্দোলন হইতেছে। সভা সমিতি বসিতেছে, বস্তৃতার স্রোত বহিতেছে, ইংরেজী, বাঙ্গলা সংবাদ পত্রিকায় হৃদয়গ্রাহী প্রবন্ধ সকল প্রকাশ হইতেছে, কোন কোন স্থানে হিন্দু মেসিন্মান একত্রে এক প্রাণে এক যোগে গোবংশ রক্ষার উপায় উদ্ভাবন করিতেছেন। কোন কোন ইংরেজী পত্রিকায় আবার প্রতিবাদও চলিতেছে। এ সময় আর নীরব থাকা উচিত মনে করিলাম না। আমি মেসন্মান-গো জাতির পরম শত্র। আমি গোমাস হজম করিতে পারি, পালিয়া পুধিয় বড় বলটির গলায় ছুরি বসাইতে পারি, ধর্মের দোহাই দিয়া দুগ্ধবতী গাভী, দুগ্ধপায়ী গোবংসের প্রাণ সংহার করিয়া পোড়া উদয় পরিপোষণ করিতে পারি, কিন্তু স্বায়চক্ষে যাহা দেখিতেছি, যুক্তি ও কারণে বাহা পাইতেছি, তাহ কোথায় ঢাকিব? স্বাভাবিক ভাৰ কোন ভাববশে গোপন করিব ? মনে এক মুখে আর হইল না। প্রিয় মৌলবী সাহেব ! মার্জন করিবেন। মূল সাহেব ! ক্ষমা করিবেন। সুফি সাহেব ! কিছু মনে করিবেন না। কি করি, জগৎ পরাধীন–কিন্তু মন স্বাধীন ••• জামাদের মধ্যে “হালাল" এবং "হারাম" দুইটি কথা আছে। হালাল গ্রহণীয়, হারাম পরিত্যজ্য । এ কথাও স্বীকাৰ্য্য যে-গোমাংস হালাল, থাইতে বাধা নষ্ট । অশ্বমাংসও DD BBB SBDS DBBS BBB BBDSDBBD S DBBB BBYBBBS BB হারামও বলিতে পারি না। মাঝামাঝি একটা নাম আছে (মক্রুহ ) আবার ঐ সাফি মতে জলজন্তু মাত্রই হালাল। দৃষ্টান্তচ্ছলে এ কথা বলিতে পারি যে, রজকের পদ যতটুকু জলের মধ্যে বস্ত্র ধৌত সময় ডুবিয়া থাকে, সাফি মতের দায় দিয়া সে মনুপাটুকুও জলমধ্য হইতে কাটিয়া লইয়া বলুস পোড়া সিদ্ধ, সুরুয়া যাহার যেরূপ অভিরুচি হয়, করিয়া উদরে ফেল, কোন চিন্তা নাই ; কখনই গাপের খাতায় নাম উঠিবে না।-ইহাও শাস্ত্রের কথা । কিন্তু শাস্ত্রে এ কথা লিখা নাই যে, গোহাড় কামড়াইতেই হইবে, গোমাংস গলাধঃ করিতেই হুইবে, না করিলে নরকে পচিতে হুইবে । বরং যাহা অখাদ্য-যথ বরাহ–সে বিষয়