পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; সরকারী কৰ্ম্ম হইতে অবসরগ্রহণ bア* মাত্র—এ সব কথা আপনাকে বহু বার বলিয়াছি। আপনি জানেন, আমি অনেক সময় কাজে বাধা পাইয়াছি। এ ছাড়া, দেখিয়াছি পদোন্নতির আর কোন আশা নাই ; কারণ, আমার ন্যায্য দাবি একাধিক বার উপেক্ষিত হইয়াছে। অতএব আমি আশা করি, আপনি স্বীকার করিবেন, আমার অভিযোগের যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে ।" ( ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৫৮) ডিরেক্টরের অতুমোদন গ্রাহ করিয়া বাংলা-সরকার মন্তব্য প্রকাশ করিলেন,— “পণ্ডিত মহাশয় যে কিঞ্চিৎ অম্বষ্ঠভাবে অবসর গ্রহণ করা সঙ্গত বিবেচনা করিলেন, ইহা দুঃখের বিষয়,-বিশেষত: তাহার যখন অসন্তোষের কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই। যাহা হউক, আপনি অনুগ্রহ করিয়া তাহাকে জানাইবেন যে, দেশবাসীর শিক্ষাবিস্তারকল্পে তিনি দীর্ঘকাল উৎসাহের সঙ্গে যে-কাজ করিয়াছেন, তজ্জন্ত সরকার র্তাহার নিকট কৃতজ্ঞ।” ( ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৫৮) স্বাস্থ্যের অবনতি কৰ্ম্মত্যাগের একটি কারণ বটে, কিন্তু পদোন্নতি সম্পর্কে আশাভঙ্গ এবং উপরিতন কৰ্ম্মচারীর সহিত মতবিরোধই যে বিদ্যাসাগরকে সরকারী কৰ্ম্ম ত্যাগ করিতে বাধা করিয়াছিল, তাহা উপরের চিঠিগুলি হইতে বেশ বুঝিতে পারা যায়। ছোট লাট হালিডে তাহার গুণগ্রাহী ছিলেন ; তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাহার সহিত সদয় ও ভদ্রব্যবহার করিতেন সত্য, কিন্তু র্যাহার অধীনতায় পণ্ডিতকে প্রতি দিন কাজ করিতে হইত, সেই সাক্ষাং উপরিতন মচারী-শিক্ষা-বি ভাগের ডিরেক্টরের প্রতিবন্ধকতাচরণ এবং অনাত্মীয় ব্যবহারে বিদ্যাসাগরের পক্ষে আর কাজ করা অসম্ভব হইয়া পড়িয়াছিল । সুতরাং “পণ্ডিত কিঞ্চিৎ অম্বষ্ঠভাবে অবসর গ্রহণ করিলেন" বাংলা-সরকারের এই মন্তব্য