পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরকারের বে-সরকারী পরামর্শদাতা b演 এ বিষয়ে ছোট লাট বিদ্যাসাগরের পরামর্শ চাহিলে উত্তরে পণ্ডিত লিখিয়াছিলেন,—

      • কাওয়েল সাহেব কলেজে স্কৃতি ও বেদান্তের পাঠ বন্ধ করিতে চাহেন। দুঃখের বিষয়, এ বিষয়ে তাহার সহিত আমার মত মেলে না। আমার মনে হয়, এই বিষয়গুলিতে আপত্তি থাকিতে পারে না। স্মৃতি সম্বন্ধে যে-সকল পাঠ্য পুস্তক নিৰ্দ্ধারিত আছে, সেগুলির সাহায্যে শুধু উত্তরাধিকার,পোস্যপুত্রগ্রহণ প্রভৃতি দেওয়ানী আইন শেখান হয়। এই সকল বিষয় অধিগত করিবার প্রয়োজনীয়তা সকলেই স্বীকার করেন, অতএব এ-সম্বন্ধে বেশী কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। ভারতবর্ষে প্রচলিত দর্শনসমূহের মধ্যে বেদান্ত অন্যতম। ইহা অধ্যাত্মতত্ত্ব-সম্বন্ধীয়। কলেজে ইহার অধ্যাপনা বিষয়ে কোন যুক্তিসঙ্গত আপত্তি থাকিতে পারে, ইহা আমি মনে করি না। এই দুইটি বিষয় এখন যে-ভাবে শিখান হয়, তাহাতে ধৰ্ম্মগত কোন আপত্তি থাকিতে পারে না। আমার বিনীত মত এই, এ সকলের অধ্যাপনা বন্ধ করিলে কলেজের পাঠ্য-বিষয় অসম্পূর্ণ থাকিয়! যাইবে 1.” ( ১৭ এপ্রিল ১৮৫৯) গণশিক্ষণ ঃ জনসাধারণের জন্য অল্প খরচার বিদ্যালয়ের কিরূপ ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিষয়ে এবং সাধারণভাবে বাংলা-শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতিসাধনের উপায় সম্বন্ধে ভারত-সরকার বাংলার ছোট লাট গ্র্যান্ট সাহেবের মতামত জিজ্ঞাসা করেন। নিজের মত প্রকাশ করিবার পূৰ্ব্বে ছোট লাট শুধু শিক্ষা-বিভাগের কৰ্ম্মচারীদের নহে, গ্রাম্য বিদ্যালয় সম্বন্ধে র্যাহাদের অভিজ্ঞতা আছে অথবা কৃষকের কল্যাণসাধনে র্যাহারা সচেষ্ট, এরূপ কয়েক জন ইউরোপীয় এবং ভারতবর্ষীয় ভদ্রলোকের বক্তব্য জানিতে চাহিলেন । ইহার মধ্যে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এক জন ।