পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মেটুরোপলিটান ইনষ্টিটিউশন মেট্রোপলিটান কলেজের প্রতিষ্ঠা তাহার অতুলনীয় কীরি। ইহাই বাঙালীর নিজের চেষ্টায় নিজের অধীনে স্থাপিত উচ্চতর শিক্ষার প্রথম কলেজ। মেট্রোপলিটানের নাম এখন বিদ্যাসাগর কলেজ হইয়াছে। পূৰ্ব্বে ইহার নাম মেট্রোপলিটান ছিল না। ১৮৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে কয়েক জন প্রতিষ্ঠাপ: লাল মিলিয়৷ শঙ্কর ঘোষের লেনে ‘ক্যালকাটা ট্রেনিং স্কুল’ নামে এক ইংরেজী বিদ্যালয় স্থাপন করেন। সরকারী স্কুল অপেক্ষা অল্প বেতনে মধ্যবিত্ত ঘরের হিন্দু* বালকগণকে ইংরেজী শিক্ষা দান করাই এই প্রতিষ্ঠানের উদেশ্ব ছিল । মিশনরীদের স্কুলে মাহিনী কম ছিল বটে, কিন্তু খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম প্রচারিত হইত বলিয়া হিন্দুর সেখানে ছেলেদের পাঠাইতে চাহিত না। প্রথম কয়েক মাস প্রতিষ্ঠাতারাই স্কুল পরিচালনা করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর সরকারী চাকুরী ছাড়িয়া দিয়াছেন জানিতে পারিয়া তাহারা বিদ্যাসাগরকে ও র্তাহার বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুল-পরিচালনে সহায়তা করিতে আহবান করিলেন। তাহারা স্বীকৃত হইলে এক পরিচালক-সমিতি গঠিত হইল। ১৮৬১ খ্ৰীষ্টাব্দের মার্চ মাস পর্য্যন্ত স্কুলটি এই সমিতি,কর্তৃক পরিচালিত হইয়াছিল। পরিচালকবর্গের মধ্যে মতাস্তর উপস্থিত হওয়ায় এই বৎসরে দুই জন প্রতিষ্ঠাতা পদত্যাগ করিয়া এক প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্যালয় স্থাপন করিলেন। শিক্ষাপ্রচার এবং বিদ্যালয়-পরিচালনে বিদ্যাসাগরের কৃতিত্ব অসাধারণ । তা ছাড়া তিনি নিঃস্বার্থভাবে সাধারণের কার্যা করিতেন । ইহ বুঝিয়াই অন্যান্য প্রতিষ্ঠাত বিদ্যাসাগর এবং ন শ, প্রতাপচন্দ্র সিংহ, রামগোপাল ঘোষ, রায় হরচন্দ্র ঘোষ বাহাদুর, রমানাথ ঠাকুর ও হীরালাল শীলের হাতে বিদ্যালয় পরিচালনের ভার দিয়া অবসর গ্রহণ করিলেন। সূতন কমিটি গঠিত হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয় সেক্রেটরী