পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু ফ্যামিলি আহুয়িটি ফও ৯৭ কাজ চলিতেছে কি-না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আদেশ ছিল, শিক্ষকের কখনও বালকদের উপর শারীরিক শান্তি বিধান করিতে পারিকেন না। তিনি বলিতেন, শাস্ত সদয় ব্যবহারের দ্বারা ছাত্রদের দোষ সংশোধন করিতে চেষ্টা করা উচিত। যাহাকে সংশোধনের অতীত বলিয়। বোধ হইত, তেমন ছাত্রকে তিনি বিদ্যালয় হইতে বহিষ্কৃত করিডেম। ভারত-সরকারের উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী বাকুলাও সাহেব তাহার পুস্তকে লিখিয়াছেন,—

  • ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে কলিকাতা শহরে মেট্রোপলিটান ইনষ্টিটিউশনের প্রতিষ্ঠা বঙ্গদেশে শিক্ষা-বিস্তারের ইতিহাসে এক স্বপরিচিত ঘটনা। এই ধরণের পরবর্তী বহু বিদ্যালয়ের ইহা আদর্শস্থানীয় । মেট্রোপলিটান কলেজের সংশ্লিষ্ট স্কুলে আট শত ছাত্র অধ্যয়ন করিত ; এতদ্ব্যতীত কলিকাতাতেই এই বিদ্যালয়ের চার-পাচটি শাখা বিদ্যমান ছিল।” যে জমির উপর এখন কলেজটি অবস্থিত, ১৮৮৫ খ্ৰীষ্টাব্দে তাহা কেন হয়। স্ববৃহৎ বিদ্যালয়-গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বায়ু হইয়াছে। ১৮৮৭ খ্ৰীষ্টাব্দের গোড়া হইতেই এখানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত হয় ।

হিন্দু ফ্যামিলি অ্যামুয়িটি ফণ্ড : প্রধানতঃ বিদ্যাসাগরেরই প্রাণপণ চেষ্টায়, ১৫ জুন ১৮৭২ তারিখে কলিকাতায় একটি হিতকর প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয় ; ইহা হিন্দু ফ্যামিলি অ্যাকুয়িটি ফণ্ড। আয় অল্প বলিয়াই সাধারণ বাঙালী গৃহস্থ মৃত্যুকালে স্ত্রীপুত্রপরিবারবর্গের কোনরূপ সংস্থান করিয়া যাইতে পারে না । যাহাতে এরূপ অবস্থার উদ্ভব না হয়, সেই উদ্দেশে এই প্রতিষ্ঠানের স্বষ্টি । ইহার টুষ্টি নিযুক্ত হইয়াছিলেন—ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বিচারপতি দ্বারকানাথ মিত্র। १