পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為bア ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বোর্ড অফ ডিরেক্টরের মধ্যে দীনবন্ধু মিত্র, প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী ও নরেন্দ্রনাথ সেনের নাম উল্লেখযোগ্য। এই প্রতিষ্ঠানটির সহিত বিদ্যাসাগর তিন বৎসর–১৮৭৫ খ্ৰীষ্টাদের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ইহার কৰ্ম্মপরিচালনায় কতকগুলি বিশৃঙ্খলা ঘটায় বিদ্যাসাগর আর নিজেকে ইহার সহিত যুক্ত রাখিতে চাহেন নাই। ২৩ ডিসেম্বর ১৮৭৫ তারিখে ‘অমৃত বাজার পত্রিকা’ লেখেন :– “কলিকাতা হিন্দু ফ্যামিলী এনিউটফগু নামক যে একটি অফিস খোলা হইয়াছিল উহা পণ্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু আমরা শুনিয়া দুঃখিত হইলাম যে বিদ্যাসাগর মহাশয় ও হাইকোর্টের জজ বাবু রমেশচন্দ্র মিত্র এবং অন্যান্য কয়েক জন প্রধান লোক ইহার সঙ্গে সংস্রব পরিত্যাগ করিয়াছেন।” ২১ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৬ তারিখে তিনি ডিরেক্টরদের যে দীর্ঘ পত্র লিথিয়াছিলেন, তাহার অংশ-বিশেষের বঙ্গাতুবাদ দিতেছি :– “এক্ট কণ্ডের প্রতিষ্ঠা ও উন্নতিকল্পে আমি আমার সমস্ত মনোযোগ ५ 65छे; নিয়ােগ করিয়াছিলাম। এই বৃক্ষের ফল উপভোগ করিতে পারিকেন বলিয় আপনার আশান্বিত, কিন্তু আমি এইরূপ কোন আশা পোষণ করি না। আমার ধারণা, প্রত্যেকেষ্ট স্বদেশের মঙ্গল সাধনে প্রাণপণ চেষ্টা করিবে, এই বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়াই আমি এ বিষয়ে আমার সমস্ত চিন্তা ও চেষ্টা নিয়োগ করি। নিজের স্বার্থসাধন আমার উদেখা ছিল না। এই ফুণ্ড সম্পর্কে আমার । " আপনাদের সকলের অপেক্ষ অধিক, এই কথা যখন বলি–এবং এ কথা আমাকে বলিতেই হইবে--তখন সে-কথা আপনার বিশ্বাস করিবেন কি-না জানি না। সম্পূর্ণরূপে সেই প্রতি বিস্তৃত হওয়ার কত দুঃখ, তাহা আমার অন্তরের অস্তুস্তলই জানে। যাহাদের আপনার পরিচালন