পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভট্টাচার্য প্রভৃতি বিগকে মনের সহিত গতজ্ঞচিত্তে আর যায় নার করিতেছি। এই সমস্ত সুবিচক্ষণ কর্ণধারদিগের পাশেই আমি নায়াসে মহাভারত-পরূপ সমুদ্রের পয়গায় প্রাপ্ত হইয়া কৃতার্থ হইলাম।”

অতঃপর তিনি “থাকারে অধুবংশ ও ভাবি অনুবাদে এত হয়েন ও পরে আদি ব্রাহ্মসমাজে মহর্ষিদেবের নিকট পরিচিত হয়ে তিখনও দায়ীভাবে ব্রাহ্মসমাজের সেবাতে প্রবৃত্ত হয়েন নাই।

হেমচন্দ্র স্বাধীনভাৰে বাল্মীকির রামায়ণ বাংলা ভাষায় অনুবাদে এবৃত্ত হইলেন। “বহুকাল ধরিয়া মহাভারতের অনুবাদ-কার্য্য সম্পাদন হইলে বিদ্যারত্ব স্বাধীনভাবে বাল্মীকি রামায়ণের সমূল সটীক ও সাধুবাদ অতি সুন্দর সংরণ প্রকাশে প্রবৃত্ত হইলেন। ইহাই রামায়ণের প্রথম অনুবাদ, যাহা বঙ্গদেশে প্রথম প্রকাশিত হয়। রামায়ণ প্রকাশের সময় বিদ্যারত্বের যশসৌরভ চারিদিকে পরিব্যাপ্ত হয়। এবং তিনি যনিবাৰু, চন্দ্রনাথ বসু, দ্বিজেন্দ্রবাবু [দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর] প্রভৃতি অনেৰানেক মনীষিগণের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিলিত হয়েন। রামায়ণ প্রকাশের সময়ে আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশ মহাশয় পরলোক গমন করিলে বিদ্যারত্ন মহাশয় ব্রাহ্মসমাজে তাঁহার কার্য গ্রহণ করেন। মহাভারত ও রামায়ণ অনুবাদ-কাব্যে বিস্তারদের জীবনের প্রায় ৩০ বৎসর অতিবাহিত হইয়া গেল।**

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, হেমচন্দ্র রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয়ের সঙ্গেও খনিষ্ঠভাবে পরিচিত হইয়াছিলেন। “মহানিৰ্বাণতন্ত্র। পূর্বকাম সম্পাদনে হেমচন্দ্র আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশের সহযোগ ছিলেন।

• শুনবোধিনী পত্রিকা-পীৰ ১৮শক। * শিশী পত্রিকা—গী, ১৮।