পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪৮
হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন

আদি ব্রাহ্মসমাজের সহকারী

সম্পাদক : মাঘ ১৮০৪—ভাদ্র ১৮০৬ শক;
পৌষ(?) ১৮১৪—চৈত্র ১৮২০ পক

 হেমচন্দ্র আদি ব্রাহ্মসমাজের উপাচার্য্যরূপে দীর্ঘকাল সমাজের উপাসনাকার্য নির্ব্বাহ করেন। মাঘোৎসবকালে প্রথম দশ দিনের বক্তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম বক্তা থাকিতেন। তাঁহার ধর্ম্মভিত্তিক বক্তৃতাগুলি বিশেষ পাণ্ডিত্যপূর্ণ ও হৃদয়গ্রাহী হইত। হেমচন্দ্রের রচনাও ছিল ধর্ম্মভিত্তিক। “আদি ব্রাহ্মসমাজের প্রকৃত ভাব যাহাতে সঙ্কুচিত না হয়, বিদ্যারত্নের লেখনীর তাহার দিকে বিশেষ লক্ষ্য ছিল।[১][২] হেমচন্দ্র মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথকৃত “ব্রাহ্মধর্ম্ম’’ গ্রন্থের সংস্কৃত অনুবাদ করিয়াছিলেন।

এশিয়াটিক সোসাইটি

 হেমচন্দ্রের পাণ্ডিত্য ছিল সুবিদিত। এই কারণেই এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁহাকে ‘বিব্‌লিওথিকা ইণ্ডিকা’র অন্তর্গত দর্শনের পুথি সম্পাদনে নিযুক্ত করেন। এশিয়াটিক সোসাইটি হইতে অণুতাষ্য নামক বেদান্তের ভাষ্য তাঁহার সুনিপুণ সম্পাদনায় বাহির হয়।

  1. প্রসন্নকুমার বিশ্বাসের স্থলে।}}
  2. তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’—পৌষ ১৮২৮ শক।