পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও রামায়ণ প্রকাশে হেমচন্দ্রের উদ্যম দেখিয়া আরকানাথ। তাঁহাকে পটাক ও সাবাদ রামায়ণ প্রকাশে অর্থ সাহায্য কৰিছিলেন। এই অর্থ সাহায্যের ফল শুভ হয় নাই। শেষ পর্যন্ত উভয়ের মধ্যে মঙ্গমা হয়। আইনত হেমচন্দ্র অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য ছিলেন না বটে, কিন্তু তিনি পাাই-পয়সাটি পৰ্যন্ত তাঁহাকে অর্পণ করেন। সমস্ত টাকা শােধ করিতে তিনি নিজেকে নিঃস্ব করিয়াছিলেন।

এখানে উল্লেখযােগ্য যে, মূল বাল্মীকি রামায়ণের হেমচন্দ্র-কৃত সংক্ষিপ্ত অনুষদ রমেশচন্দ্র দত্ত-সম্পাদিত হিন্দুশাস্ত্র-ষষ্ঠভাগের অন্তর্ভূক্ত হইয়াছে।

হেমচন্দ্রের সাহিত্যচর্চা শুধু সংস্কৃত বা বাংলা সাহিত্যের মধ্যেই নিবন্ধ ছিল না। তিনি অধিক বয়সে পাশ্চাত্য দর্শনাদি আয়ত্ত করিবার জন্য ইংরেজী ভাষা শিক্ষা করেন। এ সম্বন্ধে জানিতে পারি:

“তিনি ইংরাজী নিভুল লিখিতে বা বলিতে পারিতেন না। কিন্তু পড়িয়া কষ্টে অর্থগ্রহ করিতে পারিতেন। এবং এইরূপ কষ্টে অর্থগ্রহ করিয়া শেষ বয়সে Abbotta Life ofNelson আদ্যোপান্ত পড়িয়াছিলেন।

বিস্তারকাের ইংরেজী ভাষায় দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন এবং সংস্কৃত কবিতা রচনা সম্বন্ধেও জানা যায়।

তাঁহার প্রকাশিত অনেকগুলি সংস্কৃত কবিতা আছে। সেগুলি বাস্তৰিকই অতি সুন্দর ও মৰ্ম্মস্পর্শী, ইহাতে আধুনিকতার গন্ধ লেশমাত্র নাই। বিভাৱক্ষের হৃদয় কবিত্বপূর্ণ ছিল, তিনি ইংরাজীও জানিতেন