পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমচ বিকা ৰং পাশ্চাত্য দর্শনাদিয় যথাযথ ভাবার্থ নিজ এতিতালে এম করিয়া ফেলিয়াছিলেন। ভারত-গীত-সমাজ কর্তৃক জ্যোতিরিনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় সঙ্গীত-প্রকাশিকা' ১৩০৮, আশ্বিন মাস হইতে প্রকাশিত হয়। গৰিকাখানির প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডে তেইশ সংখ্যায় হেমচন্দ্র বিদ্যাৰ “আগ-ৰিবােধ নামক প্রসিদ্ধ সঙ্গীত গ্রন্থের তেত্রিশটি গােকের অনুবাদসহ বিস্তৃত আলােচনা করেন। এই গ্রন্থখানিতে মােট দুই শত লচিশটি শােক রহিয়াছে। ভরতের নাট্যশান্তের বিষয়বস্তু তিনি পৌষ ১৩৮ সাল হইতে মধ্যে মধ্যে পনর সংখ্যায় উক্ত সঙ্গীত-প্রাশিকায় প্রকাশিত করেন। হেমচন্দ্র বিশিষ্ট সংস্কৃতবিদ হইলেও বাংলা-সাহিত্য-সাধকদের সবিশেষ প্রকার চক্ষে দেখিতেন। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাহার উচ্চ ধারণা নিয়ে সয়স উক্তিটিতে সুপ্ৰকট: “একবার আমরা সরস্বতী পূজা করি। প্রতিমা কিনিয়া আনা হয়। আনিবার পর দেখা গেল দেবীর হাতে বীণা নাই। দেখিয়া বিদ্যারত্ন মহাশয় বলিয়াছিলেন-জােড়াসাঁকো থেকে আসবার পথে রবিবাবু বীণাটা কেড়ে নিয়েছে। সেটা যে হয় ১৯০১ সাল, যখন রবীন্দ্র-লাঞ্ছনায় বঙ্গভাষা শতমুগ্ধ। তখনকার দিনে টুল পণ্ডিতের মুখে ওরূপ উক্তি অপ্রত্যাশিত। এই এসকে আর একটি কথার উল্লেখ প্রয়ােজন। ১৮৯৬ সন নাগাদ হেমচ বীন্দ্রনাথকে ছেলেমেয়েদের পাঠোপথােগ “লং পিল দুই খণ্ড শচনায় সাহায্য করিয়াছিলেন। রবীজীবনীকায় এ বিষয় লেখেন। • বণিী পত্রিকা-পৌষ ১শক।