পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইত। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের জন্য এনি ফালিও রাখিতে পারেন নাই। এত কিন্তু তাঁহার মনে কোন ক্ষেত ছিল না। পাঁচ টাকা মূল্যের অন্যের বিনিময়ে যে পাঁচটি টাকা পাইতে হইবে, এ তত্ব তিনি বুঝিতেন না। আরও একটি আশ্চর্য ব্যাপায়দ্বারকানাথ ভঙ্গের সহিত তাঁহার যে মননামালিন্য হইয়াছিল, তাহারও কোন লক্ষণ ভবিষ্যতে দৃষ্টিগোচর হয় নাই। ভঞ্জপরিবারের সহিত তাঁহার হৃদ্যতাই বরাবর লক্ষ্য করিয়াছি।” ‘তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা’ (পৌষ ১৮২৮ শক) বিদ্যারত্ন-চরিত্রের এই দিক্‌টির সপ্রশংস উল্লেখ করিয়াছেন। উপরন্তু, বিদ্যাকে যে ব্রাক্ষ সমাজের সহিত যুক্ত থাকায় নানা লানা ভােগ করিতে হয়, ইহাতে তাহাও উল্লেখ আছে। পত্রিকা লেখেন: “বিস্কারত্বের হৃদয় সারল্যে পূর্ণ ছিল। যাহারা তাহার সংস্পর্শে আসিতেন, তাঁহারাই তাহার বিরাট হৃদয়ের উদারতায় মুগ্ধ হইতেন। আদি ব্রাহ্মসমাজের বেদী হইতে সময়ে সময়ে যে উপদেশ দিতেন, তাহাতে তাহার আন ও হৃদয় উভয়েরই আশ্চৰ্য্য পরিচয় পাওয়া যাইত। ব্রাহ্মসমাজের জন্য বিদ্যারত্বকে প্রথম বয়সে অনেক ত্যাগ ও নির্যাতন সহ করিতে হইয়াছিল, কিন্তু চরিত্র ও সাধুতাৰণে তিনি 'শক্ররও এ-ভক্তি আকর্ষণে সক্ষম হইয়াছিলেন।” হেমচন্দ্র বিদ্যায় শেষ জীবনে কিছুকাল পক্ষাঘাতে শায়ী ছিলেন। এই সময়ে জোড়াসাঁকো ঠাহু-গােষ্ঠী তাঁহার পরিবারের শেলনের ব্যবস্থা করেন। বমি হা কমে