পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা নবম খণ্ড.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনার নিদর্শন

রাম এই বিলাপ ও পরিপুর্বক গােদাবীতে গিয়া জানকী ও লক্ষ্মণের সহিত স্নান করিলেন। পরে সকলে দেব ও পিতৃগণের তপণ করিয়া উদিত সূৰ্য্য ও দেবগণের স্তব করিতে লাগিলেন। ভগবান ক্ষত্র যেমন নন্দী ও পার্বতীর সহিত নান্তে শােভা পান, ঐ সময় রামেও সেইরূপ শােভা হইল।”-অরণ্যকাণ্ড, পৃ. ৫৪-৮। “হনুমান শিংশপা বৃক্ষে প্রচ্ছন্ন হইয়া জানকীরে দেখিবার অঙ্ক ইতস্ততঃ দৃষ্টি প্রসারণ করিতে লাগিলেন। অশােকবন করতে সুশােভিত, তথায় দিব্য গন্ধ ও রস সততই নির্গত হইতেছে। ঐ যন নানারূপ উপকরণে সুসজ্জিত, দেখিবামাত্র নন্দনকানন বলিয়া বােধ হয়। উহার ইতস্ততঃ হর্ঘ্য ও প্রাসাদ, কোকিলের মধুকষ্ঠে নিরন্তর কুহর করিতেছে। সবােবর স্বর্ণপদ্মে শােভমান, অশােক সকল কুমিত হইয়া সর্বত্র অরুণ বিস্তার করিতেছে। ঐ স্থানে সকলরূপ ফল পুশই সুলভ, নানারূপ উৎকৃষ্ট আসন ও চিত্রকম্বল ইতস্তত আন্তীর্ণ রহিয়াছে। কাননভূমি সুবিস্তীর্ণ, বৃক্ষের শাখা প্রশাখা সকল বিহগণের পক্ষপুটে সমাচ্ছন্ন, সহসা যেন পশু বলিয়া লক্ষিত হইতেছে। পক্ষিগণ নিরন্তর বৃক্ষ হইতে বৃক্ষান্তরে উপবেশন করিতেছে, এবং অসংলগ্ন পুষ্পে অপূর্ব শ্রী ধারণ করিতেছে। অশােকের শাখা প্রশাখা সমস্তই পুস্পিত; কণিকার পুষ্পভরে ভূতল স্পর্শ করিতেছে। কিংশুক সকল পুষ্পস্তবকে শশাভিত; কাননভূমি ঐ সমস্ত বৃক্ষের প্রভায় যেন প্রদীপ্ত হইতেছে। পুন্নাগ, সপ্তপর্ণ, চম্পক ও উদ্দালক বৃক্ষ সকল কুমিত। কাননমধ্যে বহুসংখ্য অশােক নিরীক্ষিত হইতেছে। তন্মধ্যে কোনটি স্বর্ণ, কোনটি অগ্নির ন্যায় প্রদীপ্ত, এবং কোনটি নীলা নতুন সুন্দর। ঐ অশােন দেবকানন নন্দনের ন্যায় এবং ধনাধিপতি