পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বিবাহ করেন। বিবাহ জামালপুরেই হয়, অন্নদাপ্রসাদ জামালপুরেই কৰ্ম্ম করিতেন। ১৩০৩ সালের চৈত্র-সংখ্যা ( ইং ১৮৯৭ ) ‘ভারতী’তে ব্রজবালা দেবী “ভূত না চোর ?” নামে ভাবান্তর হইতে গৃহীত একটি গল্প প্রকাশ করিয়াছিলেন । বিবাহের ছয় বৎসর পরে (ইং ১৮৯৭ ; তিনি দুইটি শিশু সস্তান—অরুণকুমার ও প্রশান্তকুমারকে রাখিয়৷ অকালে পরলোক গমন করেন । (করাণীগিরি বি. এ. পরীক্ষা দিবার পর, সরকারী ক্লার্কশিপ পরীক্ষার উত্তীর্ণ হইয়া, প্রভাতকুমার অস্থায়িভাবে সিমলা-শৈলে ভারত-সরকারের একটি আপিসে কিছু দিন চাকুরী করেন । সিমলা দর্শন করিয়া তিনি ১৩০৪ সালের ফাল্গুন-সংখ্যা প্রদীপে’ ( ইং ১৮৯৮ ) “সিমলা-শৈল” নামে একটি সচিত্র প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছিলেন । সিমলা হইতে ফিরিয়া প্রভাত - কুমার কলিকাতায় ডিরেক্টর-জেনারেল অব টেলিগ্রাফসের আপিস স্থায়িভাবে নিযুক্ত হন ( ইং ১৮৯৯ )। বিলাত-যাত্রা কেরাণীগিরি প্রভাতকুমারকে বেশী দিন করিতে হইল না। অকস্মাৎ বিলাতযাত্রীর এক অভাবনীয় সুযোগ তাহার মিলিয়া গেল । পঠদ্দশা হইতেই প্রভাতকুমার ‘ভারতী’ পত্রিকায় লিখিতে সুরু করেন । ১৩০২ সাল ( ইং ১৮৯৫ ) হইতে উক্ত পত্রিকায় তাহার রচনাবলী নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হইতে থাকে এবং তিনি ‘ভারতী’র একজন বিশিষ্ট লেখক বলিয়া পরিগণিত হন । সরলা দেবী তখন