পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゲ প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় করিবার পর গয় তাহার কৰ্ম্মস্থল হয় ( মে ১৯০৮), এখানে তিনি আট বৎসর ছিলেন । ‘মানসী ও মৰ্ম্মবাণী’ সম্মাদন ব্যবহারাজীবের কার্য্যে প্রভাতকুমারের মন বসিতেছিল না । সাহিত্যের কমল-বনে তিনি যে আনন্দের সন্ধান পাইয়াছিলেন, তাহাই তাহার সমস্ত চিন্তুকে পরিপূর্ণ করিয়া রাখিয়াছিল । ইতিপূৰ্ব্বে ‘ভারতী’, ‘প্রবাসী’, ‘মামস’ ও ‘সাহিত্যে' প্রকাশিত র্তাহার ছোট গল্প ও উপন্যাসগুলি পাঠক-সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিল । ক্রমে ‘ষোড়শী’, ‘দেশী ও বিলাতী’, ‘গল্পাঞ্জলি’ ও ‘নবীন সন্ন্যাসা’ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে বাংলা কথা-সাহিত্যের আসরে তাহাবু আসন সু প্রতিষ্ঠিত হইল। ভাষা, বর্ণনাভঙ্গী ও বিষয়বস্তু—সকল দিক দিয়াই স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল প্রভাতকুমারের ছোট গল্পগুলি তদানীন্তন বাংলাসাহিত্যে রীতিমত সাড়া জাগাইয়াছিল, বিশেষতঃ বিলতের বিষয়বস্তু লইয়া লেখা ‘দেশী ও বিলাতী’ পুস্তকের গল্পগুলির অভিনবত্ব পাঠক ও সমালোচক সকলেরই চমক লাগাইয়া দিয়াছিল । এমনি ভাবে সাহিত্যচর্চা দ্বারা যেমন র্তাহার যশোবৃদ্ধি হইল, তেমনি অর্থাগম ও হইতে লাগিল। অন্তরের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ এবং আর্থিক সাফল্যে উৎসাহিত হইয়া একাগ্রচিত্তে সাহিত্য-সাধনায় আত্মনিয়োগ করিবার জন্য তাহার একান্ত আগ্রহ জন্মিল । তাহার আকাঙ্ক্ষী অপূর্ণ রহিল নী, অচিরেই অপ্রত্যাশিত ভাবে সুযোগ আসিয়া উপস্থিত হইল । ১৩২০ সালের ফাল্গুন মাসে (ইং ১৯১৪ ) নাটোরাধিপতি জগদিন্দ্রনাথ রায় ‘মানসী'র সম্পাদন-ভার গ্রহণ করেন । মহারাজার চেষ্টায় এই সময় হইতে মানসী’র সহিত প্রভাতকুমারের সম্পর্ক দৃঢ়ীভূত হয়।