পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্ষিপ্ত জীবনী o হইতেও প্রতি দিন একটি করিয়া কবিতা মুখস্থ করিতে দিতেন। যেখানে যাহা কিছু সুন্দর পড়িতেন, কস্তাকেও সেগুলি পড়াইতেন । ইংরেজী, গণিত, ইতিহাস ও ভূগোল সব বিষয়ই নিজেই পড়াইতেন। বার বৎসর বয়সের সময় আবার কামিনীকে বোর্ডিঙে পাঠান হইল। স্কুলে পাঠাইবার সময় পিতা কন্যাকে বলিয়া দিলেন যে, সৰ্ব্বদাই মনে রাখিবে যে, “My life has a mission.” ; : ষোড়শ বর্ষে [ ১৮৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে বেথুন ফিমেল স্কুল হইতে ] কামিনী প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন । প্রবেশিক পরীক্ষায় তিনি বাঙ্গালা ভাষাই দ্বিতীয় ভাষারূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন । ইহার পর দুই বৎসর পড়িয়াই [ ১৮৮৩ খ্ৰীষ্টাব্দে বেথুন স্কুল হইতে ] F. A. পরীক্ষা দেন এবং [ দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়া ] সংস্কৃত ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন । আবার দুই বৎসর পরে [ ১৮৮৬ খ্ৰীষ্টাব্দে বেথুন ফিমেল স্কুল হইতে ] B. A. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । এই পরীক্ষায় সংস্কৃত ভাষায় দ্বিতীয় ক্লাস অনার পাইয়াছিলেন ।. ১৮৮৬ সালে কামিনী বেথুন বিদ্যালয়ের শিক্ষয়িত্রীর পদে নিযুক্ত হইলেন । র্তাহার প্রণীত 'আলো ও ছায়া’ ১৮৮৯ সালে বাহির হয় ।...কোন সমাজের কোন দিকৃই কামিনীর ভাল করিয়া দেখিবার অবসর বা স্থবিধ ঘটে নাই। সামাজিক জীবনের অভিজ্ঞতা তাহার বড়ই কম। র্তাহার আদর্শ বেশীর ভাগ ইংরেজী ও সংস্কৃত সাহিত্য-জগৎ হইতে লন্ধ ও কল্পনাপ্রস্থত । কাজেই তাহার কবিতাগুলি পুরাতন ছাচে ঢালা হইতে পারে নাই । ।