পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘S e কামিনী রায় কোন পূজনীয় পিতৃবন্ধু কবিবর হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট “আলো ও ছায়া’র পাণ্ডুলিপি লইয়া যান” (অম্বা : নিবেদন )। হেমচন্দ্রের লিখিত ভূমিকা সহ পুস্তকখানি প্রকাশিত হয়। ভূমিকায় হেমচন্দ্র লেখেন :--- “এই কবিতাগুলি আমাকে বড়ই সুন্দর লাগিয়াছে ; স্থানে স্থানে এমন মধুর ও গভীর ভাবে পরিপূর্ণ ষে পড়িতে পড়িতে হৃদয় মুগ্ধ হইয়া যায় । ফলত বাঙ্গালা ভাষায় এরূপ কবিতা আমি অল্পই পাঠ করিয়াছি । কবিতাগুলি আজ কালের ছাচে ঢালা । বস্তুতঃ কবিতাগুলির ভাবের গভীরতা, ভাষার সরলতা, রুচির নিৰ্ম্মলতা, এবং সৰ্ব্বত্র হৃদয়গ্রাহিত গুণে আমি নিরতিশয় মোহিত হইয়াছি। পড়িতে পড়িতে গ্রন্থকারকে মনে মনে কতই সাধুবাদ প্রদান করিয়াছি । আর, বলিতেই বা কি স্থলবিশেষে হিংসারও উদ্রেক হইয়াছে !” . ‘আলো ও ছায়া’য় এমন কোন কোন কবিতা আছে, যাহা বিষয়গৌরবে রবীন্দ্রনাথের পূৰ্ব্বগামী । কবি একখানি পত্রে লিখিয়াছিলেন :- - "আমার মনে হয় আমি কিছু অকাল-পঙ্ক ছিলাম। কতকগুলি বিষয় আমি রবীন্দ্রনাথের পূৰ্ব্বেই লিখিয়াছি, কিন্তু তিনি যখন লিথিয়াছেন অনেক সুন্দর করিয়া লিথিয়াছেন । যাহা শীঘ্র বাড়ে, তাহা শীঘ্রই নষ্ট হয়, প্রকৃতির মধ্যে ইহা সৰ্ব্বদাই দেখি । অশ্বখ বটাদি বনস্পতি ধীরে বাড়ে, যত দীর্ঘায়ু হয়, লাউ কুমড়া শশা অন্ত শাকাদি সে রকম হয় না । দু দিনে বাড়ে দু দিন বাদে মরে। যে সব ছেলে precocious তাহাদের মধ্যে কেহই বড় হইয়া বড়লোক হয় না । আমার মধ্যেও একটা precocity