পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-সেবা * > ছিল, কিন্তু বয়সের সঙ্গে শক্তি বৃদ্ধি দেখা গেল না। অবশু সারাজীবন কতকগুলি প্রতিকুল ঘটনার মধ্য দিয়াই আলিতে হইয়াছে। সাহিত্যের সাধন ও অনুশীলনের সুযোগ ঘটে নাই । মনের জড়তাও ছিল।”—‘বঙ্গের মহিলা কবি’, পৃ. ৮৩-৮৪ । আলো ও ছায়া’ অপ্রত্যাশিত অভ্যর্থন লাভ করিল ; কবির নাম বেশী দিন গোপন রহিল না । কাব্যখনি সাহিত্যু-ক্ষেত্রে তাহার আসন নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছিল । অতঃপর মাসিক-পত্রের পৃষ্ঠায় “আলো ও ছায়া’-রচয়িত্রীর রচনা মাঝে মাঝে আমাদের নজরে পড়ে । সুরেশচন্দ্র সমাজপতির ‘সাহিত্য’ প্রকাশিত হইলে, উহার প্রথম বর্ষে (ইং ১৮৯০ ) কামিনী সেনের “যমুনা-কল্পনা’ ও চতুর্থ বর্ষে (ইং ১৮৯৩) “খৃষ্টদ্যুম্নের প্রতি দ্রোণ” মুদ্রিত হইয়াছিল । ক্রমে ক্রমে তাহার কয়েকখানি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হইল। ১৯১৩ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রকাশিত ‘মাল্য ও নিৰ্ম্মাল্য’ তাহাকে সাহিত্য ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করিল ; তিনি মহিলাকবিদের শীর্ষস্থানীয় বলিয়া পরিগণিত হইলেন । শেষের দিন সমীপবৰ্ত্তী হইতেছে দেখিয়া কবি র্তাহার প্রকাশিতঅপ্রকাশিত বিক্ষিপ্ত রচনাগুলি কোনরূপ নিৰ্ব্বাচন না-করিয়াই ‘দীপ ও ধূপ’ নামে পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন। ইহাতে র্তাহার যশ ক্ষুন্ন হইতে পারে—কেহ কেহ এরূপ অকুযোগ করিলে, তিনি বলিয়াছিলেন – “যে যাত্রার পর প্রত্যাবৰ্ত্তন নাই, তাহার জন্ত উন্মুখ হইয়। আাছি ; বাছাবাছির দিকে মন দিতে পারিতেছি না । দেশাস্তরে যাইবার সময় কেহ যেমন বহু দিনের সঞ্চিত অনেক কাজের এবং অকাজের সখের জিনিষ প্রতিবাসীদের মধ্যে বিলাইয়া যায়, তাহাদের দামের কথা ভাবে না, অন্ততঃ কিছুদিন কাজে আসিবে বা ভাল লাগিবে এই মনে করিয়াই খুশী হয়, আমার এই কবিতাগুলিও সেই ভাবেই দিয়া আমি খুশী ।”