পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४९ কামিনী রায় তোমারেই হাতে ঠেকে। অগ্র ও পশ্চাৎ, ইহ-পর, দেশ কাল, মিশে এক ঠাই তোমাতেই ; তোমা ছাড়ি খুঁজিবারে যাই যাহা কিছু বিশ্বে তব, ওহে বিশ্বনাথ, শূন্তে যায় মিলাইয়া ; সব এক সাথ মিলে মোর, যে মুহূৰ্ত্তে স্পর্শ তব পাই । ম্পর্শ সেই চিরদিন এ তপ্ত হৃদয় জুড়াক প্রলেপ সম ; কবচের মত শোকশরাঘাতে মোরে রাখুক অক্ষত ; দুর্গম এ গিরিপথ, বর্ষ-তাপ-ময়, চলি গান গেয়ে । নাথ, সন্ধ্যা বাড়ে যত জল এ অস্তরে মম, প্রদীপ অক্ষয় । বসন্তাগমে বসন্ত কি সহস এ নির্জন আবাসে পশিয়াছ চুপি চুপি ? নবীন পল্লবে সাজিয়াছে তরুরাঞ্জি । -ঝেড়ে দিলে কৰে পুরাতন জীর্ণপত্র ? শীতল বাতাসে বাতাবি ফুলের গন্ধ ধীরে ভেসে অসে আমার গবাক্ষপথে ; ঘন কুহুরবে মুখরিত আম্রবন,—বসন্তই হবে । উদ্যান উজ্জ্বল শত শ্বেত পুষ্প হাসে। আজিও ধরণী মোরে রেখেছে ধরিয়া তার স্বর্ণ-কারাগারে । বর্ণ গন্ধ গানে, রসে স্পর্শে দিতে চাহে দেহে আর চিতে নব প্রাণ, কিন্তু হায় নিঃশেষে ভরিয়া কই দিতে পারে, মধু ? দুরে কোনখানে থাকে অদেহীয়া, বঁধু, পার বলে দিতে ?