পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 & মানকুমারী বসু মহিলা-কুলের শীর্ষস্থানীয়া সেই ‘দীপ-নিৰ্ব্বাণ’ ‘ছিন্নমুকুল’ রচয়িত্রী, মুকবি প্রসন্নময়ী দেবী প্রভৃতি বিদুষী মহিলাগণের আদর্শ রচনাশক্তি আমার সম্মুখে ধারণ করিতেন। আমাকে ভাল করিয়া লেখাপড়া শিখাইতে র্তাহার মনে মনে বড়ই ইচ্ছা হইত, কিন্তু তিনি সময় ও সুযোগ পাইতেন না। র্তাহার নিজের পাঠ্যাবস্থা, সে জন্য অধিকাংশ সময়ে কলিকাতায়ই থাকিতেন ; ষে সময়ে বাটী আসিতেন, তখন গুরুজনদিগের শাসনে, লজ্জার অনুরোধে দিনের বেলায় আমার সহিত সাক্ষাৎ হইত না । রাত্রি ১২টা কি ১টার সময়ে যখন শয়ন-গৃহে যাইতাম, তখন আমি পড়িতে ইচ্ছা করিলেও, তিনি আমার অসুস্থতার আশঙ্কায় নিষেধ করিতেন ; সেই জন্য র্তাহার কাছে আমার লেখাপড়া হইত না । আমার বয়স যখন চৌদ্দ বৎসর, তখন আমি “পুরন্দরের প্রতি ইন্দুবালা” শীর্ষক অমিত্রাক্ষর ছন্দে, বীররস-পূর্ণ একটি কবিতা লিখিয়া স্বামীকে দিয়াছিলাম ; তাহার প্রথম কয়েক ছত্র এই— “দুরন্ত যবন যবে ভারত ভিতরে পশিল আসিয়া, পুরন্দর মহাবলী কেমনে সাজিলা রণে, প্রিয়তম তার ইন্দুবালা কেমনে বা করিলা বিদায় ? কৃপা করি কহ মোরে হে কল্পনা দেবী । কেমনে বিদায় বীর হ’ল প্রিয়া কাছে।” পদ্যটি সুদীর্ঘ হইয়াছিল। স্বামী এবং তাহার কলিকাতার বন্ধুগণ ইহা পড়িয়া বিশেষ প্রীত হন । কিছু দিন পরে একজন বন্ধু এই কবিতাটি ‘সংবাদ প্রভাকর পত্রে মুদ্রিত করেন। ইহাই আমার প্রথম প্রকাশু লেখা ।