পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতিকথা ›ፃ বুঝাইতেছি । এমন সময়, বগলে বৃহৎ খাতা লইয়া একজন ক্ষীণকায় প্রৌঢ় ব্যক্তিকে বারান্দায় দেখিতে পাইলাম। পর-মুহূৰ্ত্তেই খানসাম। একখানি কার্ড আনিয়া আমার হাতে দিল । পড়িলাম Babu Debendranath Sen, M. A., B. L. Vakil......”igreif, বাহিরে গেলাম। অাদর অভ্যর্থনা করিয়া দেবেন্দ্রবাবুকে নিজ কামরায় আনিয়া বসাইলাম । še পরস্পরে এই প্রথম সাক্ষাং—অথচ যেন কত কালের পরিচয়, এইরূপ আগ্রহে, আনন্দে কথাবার্তা আরম্ভ হইল । সেই দিন প্রাতেই দেবেন্দ্রবাবু রঙ্গপুরে পৌছিয়াছেন, আবার সন্ধ্যার গাড়ীতে ফিরিয়া যাইবেন । -. সময় অতি সংক্ষেপ, ১১টায় কাছারি । মধ্যে দেবেন্দ্র বাবু বলিলেন—“আমি কলিকাতায় ‘শ্ৰীকৃষ্ণ পাঠশালা’ বলে একটি স্কুল খুলেছি । সেই স্কুলের জন্ত চাদার খাতা নিয়ে ভিক্ষে করতে বেরিয়েছি।” থাতখিনি লইয়া, নাম সহি করিয়া আমি পাঁচটি টাকা দিলাম । সবিনয়ে বলিলাম, “আমার সবে এই নূতন আরম্ভ, বেশী কিছু দিতে পারলাম না—আপনি কিছু মনে করবেন না ।” দেবেন্দ্রবাবু মহাসমদরে তাছাই গ্রহণ করিলেন । আবার কথা বাত" আরস্ত হইল । কিন্তু কাছারির বেলা হইয়া যায় •••দেবেন্দ্র বাবু উঠিলেন। আমি তাহার সঙ্গে সঙ্গে বারান্দায় গেলাম। বিদায় গ্রহণের পূর্বমুহূর্তে হঠাৎ তিনি বলিলেন, “আচ্ছা প্রভাতবাবু, আমার কবিতা আপনার কেমন লাগে ? চক্ষুলজ্জার খাতিরে বাড়িয়ে বলবেন না, ঠিক খাটি কথাটা বলুন।” আমি হাসিয়া বলিলাম,—“খাটি কথাটই বলি, তবে শুনুন । প্রথম, ૨