দেবেন্দ্রনাথ সেন של রবীন্দ্রবাবুর transcendental প্রতিভা আপনার মধ্যে আছে বলে', আমি মনে করিনে। দ্বিতীয় কথা এই, রবিবাবুর পর আর যে সমস্ত কবি আছেন, তাদের মধ্যে আপনাকে খুব উচ্চ আসনই দিই । তাদের অনেকের কাব্যেই রবিবাবুর মুরের প্রতিধ্বনি শুনতে পাই, আপনার কাব্যে সেটি নাই, আপনার কাব্যের মধ্যে আপনার নিজের কণ্ঠস্বরটি বেশ স্পষ্ট-আর, সে স্বরটি বড় মিষ্ট, বড় পবিত্র ।” শুনিয়া, দেবেন্দ্রবাবু আমার হাতখানি ধরিয়া বলিলেন,—“এই যথেষ্ট, এর চেয়ে বেশী কিছুই আমি আশা করিনে।” বলিয়া তিনি বিদায় গ্রহণ করিলেন ।”—“মনীষা-মন্দিরে” : কৃষ্ণবিহারী গুপ্ত – ‘সঙ্কল্প”, অগ্রহায়ণ ১৩২১, পৃ. ৪৮১-৮৩ ৷ 嫌 钟 • 樂 ১৯১১ খ্ৰীষ্টাব্দে পূজার ছুটিতে অধ্যাপক কৃষ্ণবিহারী গুপ্ত জব্বলপুরে বেড়াইতে গিয়াছিলেন । স্বাস্থ্যলাভের আশায় দেবেন্দ্রনাথও সপরিবারে তখন সেখানে ছিলেন। দেবেন্ত্রনাথের সহিত তাহার যে আলাপআলোচনা হইয়াছিল, নিম্নে তাহ উদ্ধৃত করিতেছি – “.. যথাসময়ে আমি দেবেন্ত্রবাবুর বাড়ীতে গিয়া হাজির হইলাম। তিনি নিজের আরামকেদারাটিতে বসিয়াছিলেন। চা-পানের পর গল্প আরম্ভ হইল । * আমি কোন প্রসঙ্গ উত্থাপন করিবার পূর্বে তিনি আমাকে বলিলেন,— “আমি আপনাকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করিব, অকপটভাবে তাহার উত্তর দিতে সঙ্কুচিত হইবেন না । আপনারা কি এখন আমার কবিত্বশক্তির হ্রাসপ্রাপ্তি লক্ষ্য করিতেছেন ? কোন কোন মাসিকপত্র যেন সেই রকম কথা বলিতেছে। আমি অবশু তাহাতে ক্ষুঃ নহি । কারণ আমাদের গণ্ডারের চামড়া,—ওরকম সমালোচনায় গায়ে একটি অঁাচড়ও
পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩৫
অবয়ব