পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতিকথা *凯 পড়ে না । সে যাই হউক, আপনার আন্তরিক মতটা কি, তাহ জানিতে. পারিলে সুখী হইব ।” আমি বলিলাম,—“আপনার প্রতিভা সত্য সত্যই মান হইয়। যাইতেছে, এমন কথা কি করিয়া বলি ? তবে একটা পরিবতন যে হইয়াছে, তাহ বেশ বুঝা যায়, আর সে পরিবতন কবিত্বহিসাবে ভালর দিকে, কি মন্দের দিকে, তাহার বিচার করিবার সময় বোধ হয় এখনও হয় নাই। আপনার মধ্যে আধ্যাত্মিকতাটা এখন খুব প্রবল হইয়। উঠিয়াছে। ইহা যদি সর্বগ্রাসিনী হইত, অর্থাৎ আধ্যাত্মিক কবিতা ছাড়া যদি অন্ত কবিতা আপনি আর না লিখিতেন, তাহা হইলে আমরা মুখী হইতাম না ; কিন্তু সম্প্রতি “সাহিত্য’, ‘প্রবাসী’ প্রভৃতি পত্রিকায় আপনার যেরূপ বিভিন্নবিষয়িণী কবিতা বাহির হইয়াছে, তাহাতে আমাদের আশঙ্কা করিবার কারণ আছে বলিয়া মনে হয় না।” দেবেন্দ্রবাবু বলিলেন,—“আচ্ছা, আধ্যাত্মিক বলিয়াই কি সে সকল কবিতা মন্দ ?” আমি বলিলাম,—“তাহা কেন হইবে ? আপনার এমন অনেক আধ্যাত্মিক কবিতা আছে, যাহা সৌন্দর্য্যে ও লালিত্যে—‘অশোক-গুচ্ছে’র কোন কবিতা হইতে অপকৃষ্ট নহে । কিন্তু তাই বলিয়া আপনার পেপে-সুন্দরী’র আধ্যাত্মিকতা আমরা ঠিক উপভোগ করিতে পারি না ।” দেবেক্তবাবু বলিলেন, “আধ্যাত্মিকতা ছাড়া আরও একটি কারণে বোধ হয় লোকে আমার বতর্মান কবিতা অপছন্দ করে, তাহা অামার কোন কোন কবিতার ব্যক্তিগত ভাৰ। আমি ব্যক্তিবিশেষকে অবলম্বন করিয়া অনেক কবিতা লিখিয়াছি ও লিখিতেছি বটে ; কিন্তু লোকে লেগুলি নিছক ব্যক্তিগত বলিয়া লয় কেন ? আমি যে সকল মহিল,