পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরেশচন্দ্র ও বাংলা-সাহিত্য অপেক্ষাকৃত সামান্ত আয়োজন লইয়া বাংলা-সাহিত্যে যাহারা প্রভূত খ্যাতি ও প্রভাব বিস্তার করিয়াছেন, সুরেশচন্দ্র সমাজপতি র্তাহাদের অন্যতম। বাংলা-সাহিত্যের প্রতি অকৃত্ৰিম অমুরাগই প্রধানতঃ এই খ্যাতির কারণ । তীক্ষু ব্যঙ্গ ও সরস বাক্যবাণের সহিত যুক্ত হইয় তাহার সাহিত্য-সমালোচনা একটা বিশিষ্ট ভঙ্গী অর্জন করিয়াছিল এবং উত্তর কালে তাছার অদ্য সকলবিধ রচনার স্মৃতি বিলুপ্ত হইলেও এই সমালোচনার জন্য রসিক-সমাজ তাহাকে বিস্তৃত হন নাই । সাহিত্যিক-গোষ্ঠীকে একত্র করিয়া প্রত্যেককে স্ব স্ব প্রতিভা অনুযায়ী হুষ্টকাৰ্য্যে উদ্বুদ্ধ করিবার অসাধারণ শক্তি র্তাহার ছিল ; তিনি নিজে যতটুকু সাহিত্যাষ্টিই করিয়া থাকুন, সাহিত্যিক সৃষ্টির কাজে যথেষ্ট প্রতিভার পরিচয় দিয়া গিয়াছেন । মোটের উপর এই কারণে আমরা সমাজপতিকে শুধু এক জন সাহিত্যিকরূপে গণ্য না করিয়া যুগ-হিসাবে গণ্য করিয়া থাকি। তাহার সম্পাদিত সাহিত্যে এই যুগের পরিচয় অক্ষয় হইয়া আছে । সুরেশচন্দ্রের অনবদ্য রচনার নিদর্শনস্বরূপ আমরা তাহার দুইটি প্রবন্ধ উদ্ধৃত করিতেছি :– vভূদেব মুখোপাধ্যায় —প্রাচ্য ও প্রতীচ্য সভ্যতার গ্রন্থিস্বরূপ, মিলনবিন্দুস্বরূপ, ভূদেব এ দেশ অলঙ্কত করিয়াছিলেন । ধৰ্ম্মে নিষ্ঠাবান ভক্তিযুক্ত হিন্দু, জ্ঞানে উদার স্বল্পদর্শী দার্শনিক, শাস্ত্রে প্রগাঢ় চিন্তাশীল অধ্যাপক, সমাজে বহুদশী ধীর সংস্কারক, পরিবারে প্রতিপরায়ণ কৰ্ত্তব্যশরণ কর্মযোগী, স্বয়ং শত সহস্ত্রের শিক্ষক অথচ আজীবন শিক্ষার্থী শিষ্য, ভূদেব, স্বীয় জীবিতকাল কৰ্ম্মযোগে অতিবাহিত করিয়াছিলেন। ভূদেবের