్సు অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় বিভাগ ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহাসিক যুগ ধরিয়া করিতে হইবে। যে যুগে যে কারণে মূৰ্ত্তি কল্পনা ৰে ধারা অবলম্বন করিয়াছিল, সেই যুগের সকল সম্প্রদায়ের মূৰ্ত্তিতেই তাহা দেদীপ্যমান। সুতরাং সম্প্রদায়-অনুসারে যুগের নামকরণ করিলে, তাহ ইতিহাসের বিচারে টিকিতে পারবে না । উড়িষ্যার দেবমূৰ্ত্তিগুলির মধ্যে যাহার ছবি বা স্কেচ পাইলে আমার উপকার হইতে পারে, তাহার তালিকা এইরূপ :–(১) যাজপুরের মাতৃকামূৰ্ত্তি, (২) পুরীর মার্কণ্ডেয় সরোবর তীরে একখানি চালাঘরে রক্ষিত মাতৃকামূৰ্ত্তি, (৩) পুরীর জগন্নাথ-মন্দিরের বাহিরের বৃহৎ বরাহ ও নৃসিংহমূৰ্ত্তি, এবং পুরী ও কোণার্কের কষ্টপাথরের সমস্ত মূৰ্ত্তি, (৪) সাক্ষী গোপালের মূৰ্ত্তি। শ্ৰীযুক্ত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়কে তাহার কথা লিখিয়াছি । আমার পত্র ও দীর্ঘ হইয়া পড়িল যত কথা বলিব, তত কথা বলা হইল না। আর দুই একটা কথা বলিয়৷ এবার বিদায় লইব । আপনি ভাঙ্গালা দেশের গৌড়শিল্পের নিদর্শনের তালিক। চাহিয়াছেন, তাহ বৃহৎ । *issal of gig magic lantern slide of its; 2 of cofs কলিকাতার যাদুঘরে কিছু আছে, কিন্তু বেশী আছে বরেন্দ্র-অনুসন্ধান সমিতির সংগ্রহ-মন্দিরে । তাহার ব্লক হইতেছে, একসঙ্গে গৌড়শিল্পকলা পুস্তকে বাহির হইবে। গৌড়শিল্পরীতি সম্বন্ধে আমার অভিমত কি তাহার একটা নোট চাহিয়াছেন । সংক্ষেপে লিখিলেও তাহ বৃহৎ নেট’ হইবে । এক কথায় বলিতে গেলে মহাযান-সম্প্রদায়ের অধ্যাহ্ববাদের পরিণামই গৌড়ীয় শিল্পরীতিরূপে আকার গ্রহণের চেষ্টা করিয়াছিল। পঞ্চ পাল নয়পালের সময় পর্য্যন্ত সেই অধ্যাত্মবাদ বিশুদ্ধি রক্ষা করিয়া ক্রমে অবসন্ন হয়, শিল্প ও তাহার অনুগমন করে । বরেন্দ্রে যে শিল্প নীতির উদ্ভব, তাহা উড়িষ্যায়, মগধে, দ্বীপপুঞ্জে গিয়াছিল । মগধ ও গৌড় একসূত্রে গ্রথিত থাকায়, মহাযান মতের অধোগতির সঙ্গে এই দুই স্থানের শিল্পরীতি
পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৮১
অবয়ব