পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় ; জন্ম কাতা, রামবাগান-নিবাসী দত্ত-পরিবার বাণীসেবকরূপে সুবিখ্যাত। এই পরিবারের নীলমণি বা নীলু দত্ত অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাদ্ধে কলিকাতার এক জন প্রতিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন । তিনি মুচ্ছদির কাজ করিতেন। শোভাবাজার-রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নবকৃষ্ণ বাহাদুর সর্বদাই তাছার ইংরেজী-জ্ঞানের সাহায্য গ্রহণ করিতেন । নীলমণি দত্তের তিন পুত্ৰ—রসময়, হরিশ ও পীতাম্বর । কনিষ্ঠ পীতাম্বরই জন্ম ১৭৯৯ ) রমেশচন্দ্রের পিতামহ এবং র্তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র ঈশানচন্দ্র ( জন্ম ১ মার্চ ১৮১৮ ) রমেশচন্দ্রের পিতা । ১৮৪৮ সনের ১৩ই আগস্ট কৃষ্ণ সিংহের গলির (বর্তমান বেথুন রো-র ) অন্তর্গত কালীমন্দিরের পূর্বদিক-সংলগ্ন গৃহে মাতুলালয়ে রমেশচন্দ্রের জন্ম হয়। র্তাহার পিতা ডেপুটি কলেক্টর ছিলেন ; সরকারী কাৰ্য্যে তাহাকে দেশ-দেশাস্তরে গমন করিতে হইত। বালক রমেশচন্দ্র পিতার সচিত বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে কখন নৌকায়, কখন বা পান্ধীতে ঘুরিয়া বেড়াইবার সুযোগ পাইয়াছিলেন । বলা বাহুল্য, তখন রেল ছিল না । তাছার শৈশবের অধিকাংশ সময় বীরভূম, কুমারখালি, ভাগলপুর, বহরমপুর, পাবনা প্রভৃতি অঞ্চলে অতিবাহিত হইয়াছিল। বারংবার স্থান-পরিবর্তনে পুত্ৰগণের পড়াশুনার ব্যাঘাত হইতেছে দেখিয়া ঈশানচন্দ্র পরিবারবর্গকে কলিকাতায় রাখাই স্থির করেন। রমেশচন্দ্র কলিকাতায় আসিয়া কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুলে (পরে, হেয়ার স্কুল ) ভর্তি হন । ইহার অল্প দিন পরেই তাহার মাতা থাকমণি দেবীর মৃত্যু হয় ( ৪ সেপ্টেম্বর ১৮৫৯ ) । এই ঘটনার দুই বৎসর পরে তাহার পিতাও পরলোকগমন করেন ( ৮ মে ১৮৬১ ) । খুল্লতাত